মাথায় রাখুন, গত ১৫ বছরে নিফটি ৫০ সূচক এক বারই বাজেটের আগে, বাজেটের দিন এবং বাজেটের পরে লাভের মুখ দেখিয়েছে। আর এই পনেরোর মধ্যে আট বার বাজেটের দিন লাভের মুখ দেখিয়েছে নিফটি।
মাথায় রাখুন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথাও। সঞ্চয় পরিকল্পনা এমন ভাবে করতে হবে, যাতে লগ্নির উপর আপনার রিটার্ন মুদ্রাস্ফীতির হারের উপর থাকে। এতে সন্তানের শিক্ষা খাতে জমানোর চাপও কমবে।
একজন ভারতীয় ব্রোকারের সঙ্গে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলুন যার একজন বিদেশি ব্রোকারের সঙ্গে পার্টনারশিপ রয়েছে। বেশ কিছু জনপ্রিয় বিদেশি ব্রোকার রয়েছে যারা ভারতের বিনিয়োগকারীদের মার্কিন ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করতে দেয়।
সহজভাবে বলতে গেলে, আপনার বিনিয়োগযোগ্য উদ্বৃত্ত ইক্যুইটি, ডেট, সোনা, নগদ টাকা অথবাসমতুল্য কোনও খাতে গচ্ছিত রাখা। কোনও ম্যাজিক নয়, বরং এটি একটি সুনিপুণ কৌশল যা চলতি বছরে গুরুত্বপূর্ণভূমিকা পালন করবে।
একটি স্টক কেনার আগে সেই স্টকের অনুপাত সম্পর্কে জেনে নেবেন। মূল্য থেকে আয়ের অনুপাত, ডেট অর্থাৎঋণ থেকে ইক্যুইটির অনুপাত এবং মূল্য থেকে বুক ভ্যালু অর্থাৎ বই মূল্যের অনুপাত।
ঋণপত্রের বাজারেও দামের ওঠা পড়া চলতে থাকে কারণ সুদের হারের ওঠা পড়া। তাই উপদেষ্টার সঙ্গে পরামর্শ করুন। ঝুলিতে যদি ভাল শেয়ার থাকে ধরে রাখুন। খারাপ শেয়ার বেচে দিন।
ঠিক মতো বিনিয়োগ করলে সঞ্চয়ের লাভ আবার লগ্নি করলে, তার উপর পাওয়া লাভও লগ্নি করলে শেষের অঙ্কটা দাঁড়ায় অনেক বেশি। কারণ আপনার টাকাটা বাড়ছে চক্রবৃদ্ধি হারে।
সুদের হার উপরের দিকে থাকায় ফিক্সড ডিপোজিটের দিকেও সঞ্চয় দৌড়চ্ছে। কারণ সেই আয়ের নিশ্চয়তা। এবং ঝুঁকি এড়ানোর প্রবণতা। তাই এই প্রবণতা যদি আপনারও থাকে তাহলে ঋণপত্র নির্ভর মিউচুয়াল ফান্ড বাছতে পারেন।
আমার অভিজ্ঞতা বলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঞ্চয়কারীরা নিজেদের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা এবং সঞ্চয়ের লক্ষ্য মিলিয়ে বিভিন্ন সম্পদ বা অ্যাসেট ক্লাসে লগ্নি করতে পারেন না।
প্রথম প্রশ্নই হওয়া উচিত বাজারে আপনার কত ঋণ আছে, তাকে ঘিরে। কত বছরে ঋণ শোধ করতে হবে আপনাকে? আজকের আয়ের নিরিখে সেই শোধ করার রাস্তাটি কি সময়ের হিসাবে আর একটু কমিয়ে ফেলা যাবে?