আর আপনার এই অ্যাকাউন্ট থাকলে তার মাধ্যমে আপনি আপনার শেয়ার, ইটিএফ, ঋণপত্র এবং মিউচুয়াল ফান্ডের সব বিনিয়োগ এক জায়গায় ধরে রাখতে পারবেন। তবে মাথায় রাখুন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য এই অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক নয়।
কর্মচারী যদি এক মাসের মতো চাকুরিবিহীন থাকেন তা হলে ইপিএফের ৭৫ শতাংশ তুলতে পারেন। দুই মাস বা তারও বেশি সময় ধরে যদি বেকার থাকেন তা হলে সে ক্ষেত্রে পুরো ইপিএফের টাকাই তুলে ফেলা যায়।
এখন আপনি যেখানেই কাজে যোগ দিন না কেন, আপনার রয়েছে একটি নির্দিষ্ট পরিচয় সংখ্যা – ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর বা ইউ এ এন। আপনি যেখানেই চাকরি করুন না কেন,আপনার অ্যাকাউন্ট নম্বর হবে এটাই।
স্থানীয় শাখার দৌলতে বাড়ির কাছাকাছি ব্যাঙ্কেরপরিষেবার সুযোগ রয়েছে আপনার। কিন্তু অন্যদিকে ভবিষ্যনিধির ক্ষেত্রে দূরত্ব একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ কাছাকাছি শাখার সুবিধা নেই এ ক্ষেত্রে।
এই নিয়মটি করা হয়েছে আপনার সুরক্ষার স্বার্থেই। অভিজ্ঞতা বলে, আগে অনেক সময়েই দেখা গিয়েছে যার নামে কার্ড তিনি জানলেন না, অথচ তাঁর নামে ইস্যু করা কার্ড অন্য কেউ ব্যবহার করতে শুরু করে দিয়েছে।
কত টাকা ঋণ চাইছেন এবং সেই ঋণ নেওয়ার আর্থিক যোগ্যতা আপনার আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ব্যাঙ্ক সেই সম্পত্তির বাজার দর যাচাই করবে। সব কিছু ঠিক থাকলে সম্পত্তির মূল্যের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন আপনি।
নতুন নিয়মে এই ন্যূনতম বিলের টাকা হিসাবের অঙ্কটাও বদলে গিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্কের নির্দেশে। এখন থেকে শুধু সুদের টাকাই নয় যোগ হয়েছে আরও কিছু অঙ্ক তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আপনি যে খরচ করেছেন তার একটা অংশ এবং অবশ্যই জিএসটি।
একদিকে যেমন স্টক এক্সচেঞ্জে ট্রেড করার সুবিধা রয়েছে সে রকমই ইটিএফ –এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা সোনা বা রূপোয় লগ্নি করতে পারেন খুব সহজেই। সেবির নিয়মের দৌলতে।
দেখুন, ১০০ টাকা থেকে কমে যখন সঞ্চয় ৫০ টাকায় নামে তখন কিন্তু সেটা ৫০ শতাংশ ক্ষয়। কিন্তু ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় তোলা মানে হল ১০০ শতাংশ লাভ। তাই সঞ্চয়ের ঝুলি তৈরির সময় যাতে এই পতন না হয় তার ব্যবস্থা করা জরুরি।
তাই মিউচুয়াল ফান্ডে সিপ করার উপদেশ দিয়ে থাকেন। কারণ, দীর্ঘকাল ধরে ধৈর্য ধরে লগ্নি করলে দীর্ঘমেয়াদে উত্থান পতনের সুবিধা নিয়ে আপনার লাভের ঘর ভরতে থাকে। আরও ভাল হয় যদি ডিভিডেন্ড ঘরে না তুলে তাও আবার লগ্নি করেন।