ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে নিয়ম করে ভোর সাড়ে ৪টেয় ঘুম থেকে ওঠেন। সব্জিবাজার সেরে ৬টা নাগাদ স্কুটির দু’পাশে দু’টি ১৩ কেজির ‘ক্যান’ ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়েন। শুরু হয় অ-সাধারণ এক যাত্রা।
কেঁদে ফেলেছিলাম ঝরঝর করে। এমন করল আমার সঙ্গে? কেন করল? আমার অসহায়তা নিয়ে মজা করল? বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় আমার চোখের জল তখন আশপাশের কারও চোখে পড়ছিল না।
সাঁইথিয়ার গোবিন্দ রায় থেকে শুরু করে বিহারের সুবীর কুমার, মাইনুদ্দিন সত্যিই ওঁদের জীবনে ‘ঈশ্বরের দূত’ হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন লালগোলা স্টেশনে।
শুরু ১৯৯৮ সালে। পরের ২৫ বছর পেরিয়ে রণজিতের আশ্রমে এখন অন্তত ৩০ জন অনাথ বাচ্চা রয়েছে। তবে কোনও কিছুর জন্যই তিনি পয়সা নেন না। চলে কষ্টেসৃষ্টে। কিন্তু হাত পাততে চান না রণজিৎ।
নিজের প্রমীলা বাহিনীকে সব সময় ফুলহৃদা বোঝান, নারী আসলে অবলা নয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের জন্য অনেক আইনকানুন রয়েছে। শুধু ভয় পেলে চলবে না।’’
অ-সাধারণ সাহস। এবং অ-সাধারণ ফিটনেস। সাহস বা দুঃসাহস প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। প্রথমেই প্রশ্ন জাগে, এমন নাদুসনুদুস ভুঁড়ি, ঈষৎ স্থূল চেহারা নিয়ে অমন ছুটটা দিলেন কী করে?
পাড়ার ছোট্ট পার্কে এলাকার কচিকাঁচা আর বয়স্কদেরই ভিড় বেশি। সত্যের লাইব্রেরি, সত্যের গাছের মধ্যেই এখন ‘মর্নিং ওয়াক’ থেকে বিকেলের রোদ্দুরে হুটোপাটি। তার মধ্যেই বই খুলে বসে যান পাঠক।
গল্পের বাঞ্ছারামের ‘বারো বিঘে তেরো ছটাক’ জমির উপর বাগান। ভিতরে মাটির বাড়ি। শ্যামাপ্রসাদের জমি তিন বিঘে। চাষবাষ করে দিন কাটানোর কথা ছিল সেই জমিতে। কিন্তু গাছই সব ‘নষ্ট’ করে দিল।
পবিত্রা জানতেন, এক দিন না এক দিন চারপাশের ওই সব চোখ-মুখ বদলে যাবে। এবং, সেটা এক দিন হলও। পবিত্রার হাত ধরে অখ্যাত পাহাড়ি গ্রামটার অর্থনীতি বদলে গেল। পাল্টে গেল সামাজিক চিত্র।
আনোয়ারের ‘পরিবার’ সত্যিই অনেক বড়। গোটা দেশে ছড়িয়ে। কী করে হল এমনটা? কোথা থেকে এই কাহিনির শুরু? আনোয়ার জানালেন, তখন তাঁর বছর তেইশ বয়স।
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy