২৩ অক্টোবর ২০২৪

আমাদের সম্পর্কে

আনন্দবাজার পত্রিকা যাত্রা শুরু করেছিল ১৩ মার্চ, ১৯২২। আনন্দবাজার পত্রিকার আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল দোলযাত্রার দিন। প্রথম সংখ্যাটি ছাপা হয়েছিল পুরোপুরি লাল কালিতে। যাকে ব্রিটিশ সরকারের মুখপত্র ইংলিশম্যান এক 'বিপদ সংকেত' বলে ভেবেছিল। ইংলিশম্যানের এই দূরদৃষ্টির প্রশংসা না-করে উপায় নেই। কেননা, আনন্দবাজার পত্রিকা দেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে নির্ভীক ও আপসহীন মনোভাব নিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিতে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল।

প্রাক্-স্বাধীনতা যুগে আনন্দবাজার পত্রিকা ছিল জাতীয়তাবাদের উদ্গাতা, স্বাধীনতা পরবর্তী কালে সে দাঁড়িয়েছে এই বাংলা ও তার মানুষদের সার্বিক উন্নয়নের পক্ষে। পক্ষপাতহীন মতামত, গঠনমূলক সমালোচনা, অদম্য সাহস ও আপসহীন মনোভাব এ হল মাত্র কয়েকটা দিক, যা আনন্দবাজার পত্রিকাকে করে তুলেছে 'বাঙলার ভাষা'।

১৯৫৪ সালে প্রেস কমিশন আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেশের একক সংস্করণের সর্বাধিক প্রচারিত সংবাদপত্র হিসাবে ঘোষণা করে। নতুন শতকের সূচনালগ্নে আজও আমরা সেই গৌরবকে অক্ষুণ্ণ রেখে চলেছি। আনন্দবাজার পত্রিকার দৈনিক প্রচার সংখ্যা (অডিট ব্যুরো অফ সার্কুলেশন) এখন ১০ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭১৪ (প্রধান সংস্করণ)। পশ্চিমবঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার পাঠকসংখ্যা ১ কোটি ২৭ লক্ষ (IRS 2019 Q3, Total Readership, Main)

কোনও সংবাদপত্র শক্তি আহরণ করে তার পাঠকবর্গের কাছ থেকে। আর এই পাঠকদের কাছ থেকেই আনন্দবাজার পত্রিকা পেয়েছে তার প্রেরণা। তাঁরাই তো সংবাদপত্রের চালিকাশক্তি। রতিদিন সকালে প্রায় ৭০ লক্ষ শিক্ষিত প্রাপ্তবয়স্ক বাঙালি আনন্দবাজার পত্রিকা পড়েন। সত্যি বলতে কি, পশ্চিমবঙ্গে প্রতি দু'জন সংবাদপত্র পাঠকের মধ্যে একজন আনন্দবাজার পত্রিকার পাঠক। কলকাতার উচ্চ সমাজের বেশির ভাগ মানুষ ইংরেজি সংবাদপত্র না-পড়ে একটি আঞ্চলিক ভাষার খবরের কাগজ পড়েন, এ-ঘটনা সত্যিই অভিনব। আর কোনও মহানগরে আমরা এমন ঘটনা দেখতে পাই না। ন্যাশনাল রিডারশিপ সার্ভের রিপোর্টে প্রতিফলিত হয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকার পাঠকবর্গের জীবনযাত্রার ধারা। কলকাতা থেকে নিয়মিত বিমানে ভ্রমণকারী প্রতি দু'জনের একজন, পশ্চিমবঙ্গে নামকরা গাড়ির মালিকদের ৪০%, রাজ্যের ওয়াশিং মেশিন আছে, এমন মানুষদের অর্ধেকেরও বেশি, পশ্চিমবঙ্গের অর্ধেক মাইক্রোওয়েভ মালিক, রাজ্যের সমস্ত এয়ার কন্ডিশন মালিকের ৪০% আনন্দবাজার পত্রিকার সমৃদ্ধ পাঠক-তালিকা খুব দীর্ঘ।

আর এই পাঠককুল অসংখ্য বিজ্ঞাপনদাতার কাছে এক সত্যিকারের স্বর্ণখনি। যে-বিজ্ঞাপনদাতা বাজারে একটুখানি ভাগ পাওয়ার জন্য পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। বিজ্ঞাপনদাতারা জানেন, পশ্চিমবঙ্গে সামগ্রী ও পরিষেবা বিপণন করতে গেলে আনন্দবাজার পত্রিকা অপরিহার্য। কারণ, এই পত্রিকা 'শুধু এক বৃহৎ সংবাদপত্র নয়, এক বৃহৎ বাজার'।

anandabazar.com বাংলা ভাষায় ভারতের এক নম্বর নিউজ ওয়েবসাইট। পাঠকসংখ্যা এবং পেজভিউয়ে সর্বোচ্চ এই ওয়েবসাইটের মাসিক গড় পাঠক এক কোটি। খবরের পাতা পড়েন প্রতি মাসে গড়ে ১২ কোটি বার। সঠিক, নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্লেষণাত্মক খবর দেওয়ায় আনন্দবাজারের অনলাইন পাঠকসংখ্যা প্রতি মাসে ক্রমাগত বাড়ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মেও আনন্দবাজার রয়েছে। চারটি ফেসবুক পেজে নজর রাখেন ৮০ লক্ষ নেটাগরিক। টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবে আমাদের এখনই ফলো করেন ৫ লক্ষ মানুষ। এই সংখ্যাও প্রতিদিন চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে।