প্রতীকী ছবি
বাজেট দরজায় কড়া নাড়ছে। শেয়ার সূচকও দুলছে। আর আপনি ভাবছেন একটু খেললে কেমন হয়? খেলতেই পারেন, যদি আপনি ঝুঁকি নিতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি বিনিয়োগকে নিজের দীর্ঘকালীন স্বপ্ন সফল করার পাথেয় করার কথা ভাবেন, তা হলে কিন্তু সাবধানে পা ফেলতে হবে। বাজেটের আগে শেয়ার বাজারের ওঠা-নামার ইতিহাস যেমন জানা জরুরি, তেমনই কিন্তু মাথায় রাখা দরকার আরও একটা কথা। ইতিহাস যেমন পথ দেখায়, তেমনই কিন্তু আগামীর আশঙ্কা তৈরি করে আপনার ঝুঁকির অঙ্ক। তাই বাস্তবকে মেনেই এগোতে হবে আপনাকে।
আসুন আগে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাস কী বলে। বাজেটের আগে কিন্তু শেয়ার বাজার একটু চঞ্চল থাকে আগামীর আশঙ্কা। এক পা এগিয়ে দু’পা পিছেয়ে যাওয়া কিন্তু বাজেটের আগে খুবই স্বাভাবিক। তাই যদি দেখেন কয়েকদিন বাজার খুব উঠছে, আর আপনিও লোভ সামলাতে না পেরে আগেপিছে না ভেবে টাকা লাগিয়ে বসলেন তাহলে কিন্তু আপনাকে পস্তাতে হতে পারে। কারণ এই সময়টা কিন্তু খুব বড় ফাটকার সময়।
মাথায় রাখুন গত ১৫ বছরে নিফটি ৫০ সূচক কিন্তু একবারই বাজেটের আগে, বাজেটের দিন এবং বাজেটের পরে লাভের মুখ দেখিয়েছে।
আর এই পনেরটার মধ্যে আটবার বাজেটের দিন লাভের মুখ দেখিয়েছে নিফটি। তবে বাজেটের দিন সূচক অনেক বেশি স্থিতিশীল থাকে বাজেটের আগের তুলনায়।আসুন আগে দেখে নেওয়া যাক, ইতিহাস কী বলে। বাজেটের আগে কিন্তু শেয়ার বাজার একটু চঞ্চল থাকে আগামীর আশঙ্কায়। এক পা এগিয়ে দু’পা পিছিয়ে যাওয়া বাজেটের আগে খুবই স্বাভাবিক। তাই যদি দেখেন কয়েক দিন বাজার খুব উঠছে, আর আপনিও লোভ সামলাতে না পেরে আগুপিছু না ভেবে টাকা লাগিয়ে বসলেন, তা হলে কিন্তু পস্তাতে হতে পারে। কারণ এই সময়টা খুব বড় ফাটকার সময়।মাথায় রাখুন, গত ১৫ বছরে নিফটি ৫০ সূচক এক বারই বাজেটের আগে, বাজেটের দিন এবং বাজেটের পরে লাভের মুখ দেখিয়েছে।আর এই পনেরোর মধ্যে আট বার বাজেটের দিন লাভের মুখ দেখিয়েছে নিফটি। বাজেটের দিনে সূচক অনেক বেশি স্থিতিশীল থাকে বাজেটের আগের তুলনায়।তবে হ্যাঁ, বাজেটের পরে সাধারণ ভাবে শেয়ার বাজার চঞ্চল থাকলেও ঐতিহাসিক ভাবে গড় লাভের মুখ দেখেছেন বিনিয়োগকারীরা।
তবে এ বারের অবস্থা একটু আলাদা। বাজারের কান পাতলে যা শোনা যাচ্ছে, তা হল- “ভাই সামলে”। তার কারণ কোভিড এবং যুদ্ধ। বিশ্বজুড়ে সব দেশই এখন লড়াই করছে মুদ্রস্ফীতির দৈত্যর সঙ্গে। ইউক্রেনের যুদ্ধ থামার কোনও আশা নিকট ভবিষ্যতে নেই। তাই খাদ্যশস্যের দামও যে চট করে কমবে, তার কোনও লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। ইউরোপ এবং আমেরিকার অবস্থানও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া হচ্ছে। আর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে আর্থিক বাজারের ঝুঁকি, যার গভীরতা এবং প্রসার এবং তার অভিঘাত যে কী হবে, তা নিয়ে আমাদের কোনও অভিজ্ঞতাই নেই।
তাই বিনিয়োগের বাজার মনে করছে, এ বারের বাজেটে উৎপাদন শিল্পকে চাগিয়ে তোলার একটা চেষ্টা থাকবে। পাশাপাশি এটাও মাথায় রাখতে হবে যে নির্বাচনের আগে এটাই হতে চলেছে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তাই মোদি সরকার কি জনমোহিনী হওয়ার লোভ সামলাতে পারবে? যদি না পারে, তা হলে কোন রাস্তায় হাঁটবে? কারণ, রাজকোষ ঘাটতি কমানোরও চাপ রয়েছে সরকারের ঘাড়ে।
তাই এ বারের অনিশ্চয়তা এবং ঝুঁকির চরিত্রটা কিন্তু ইতিহাসে মিলিয়ে নেওয়া কঠিন। ফলে সাবধানে পা ফেলুন। লোভ সামলান। আর নিজেকে বোঝান যে, চটজলদি লাভের থেকে দীর্ঘকালীন বিনিয়োগে আস্থা রাখাই শ্রেয়।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy