Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Presents
Personal Finance 2023

বিদেশি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে চাইলে কী ভাবে করবেন?

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

শৈবাল বিশ্বাস
শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩৪
Share: Save:

পাঠকের প্রশ্ন: বেসরকারি সংস্থায় কর্মরতা প্রায় তিন বছর। বয়স ২৯ এবং মাসে আয় ৫০ হাজার। পরিবারের সদস্য বলতে আমি আর আমার মা। মাসে খরচ প্রায় ২৮ হাজার টাকা। পেনশন ৭ হাজার টাকা, স্বাস্থ্য বিমা ৮ লক্ষ টাকার। খরচ ১৫ হাজার টাকা। বছরে পিএফ ৫৪ হাজার টাকার মতো। পারিবারিক সম্পত্তির সূত্রে হাতে রয়েছে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা। বিদেশের শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চাই।

উত্তর দিচ্ছেন আর্থিক উপদেষ্টা:

ভারত জুড়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিদেশি স্টকে বিনিয়োগ করার প্রবণতা চোখে পড়ার মতো। বিদেশি স্টকে বিনিয়োগের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশি আয়ের সুযোগ অন্যতম। অবশ্য এর সঙ্গে কিছু অন্য পরিণামও জড়িয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, উচ্চ ব্রোকার চার্জ ইত্যাদি। যদিও রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া একজন নাগরিকের বিনিয়োগের অঙ্ক আড়াই লক্ষ ডলারে সীমাবদ্ধ করেছে। তবে মাথায় রাখা প্রয়োজন মার্কিন ইক্যুইটিতে আপনি বড় অঙ্ক বিনিয়োগ করতে পারেন।

বিদেশি স্টকে বিনিয়োগের অনেক কারণ রয়েছে। তবে সব থেকে বড় কারণটা হল বিদেশি মুদ্রার বাজারে টাকার দাম পড়া। এর ফলে আপনার লাভ বাড়ে। কারণ আপনার কাছে এক বছর আগে ১ ডলার কিনতে যদি ৮০ টাকা লাগত আজ লাগে ৮৩ টাকা। তাই শুধু টাকার দাম পড়াতেই ডলার পিছু আপনার লাভ কিন্তু ৩ টাকা বাড়ল। পাশাপাশি, আপনার ঝুলিতে টেসলা, গুগল, অ্যামাজন, ফেসবুক, অ্যাপল, মাইক্রোসফট, জেনারেল মোটরসের মতো অনেক লাভজনক শেয়ার ভরার সুযোগও থাকছে।

সরাসরি বিনিয়োগ

মার্কিন ইক্যুইটিতে সরাসরি বিনিয়োগ করতে হলে নীচের প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে যে কোনও একটি অনুসরণ করতে হবে:

একজন ভারতীয় ব্রোকারের সঙ্গে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলুন যার একজন বিদেশি ব্রোকারের সঙ্গে পার্টনারশিপ রয়েছে। ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি সব থেকে সহজ বলে বিবেচিত হয় কারণ অনেক ফান্ড হাউস বিদেশি স্টকে বিনিয়োগ করার জন্য প্রস্তুত।

বিদেশি ব্রোকারের সঙ্গে অ্যাকাউন্ট খুলুন। বেশ কিছু জনপ্রিয় বিদেশি ব্রোকার রয়েছে যারা ভারতের বিনিয়োগকারীদের মার্কিন ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করতে দেয়।

পরোক্ষ বিনিয়োগ

যদি বিদেশি স্টকে পরোক্ষভাবে বিনিয়োগ করতে চান তা হলে আপনার হাতে রয়েছে তিনটি উপায়:

ইটিএফ

ভারতীয় অথবা আন্তর্জাতিক ব্রোকারের মাধ্যমে সরাসরি মার্কিন ইটিএফ কিনতে পারেন। ইটিএফ –এ বিনিয়োগের সময় ন্যূনতম ডিপোজিট ব্যালেন্স রাখা বাধ্যতামূলক নয়।

মিউচুয়াল ফান্ড

বিদেশি স্টকে বিনিয়োগের সহজতম উপায় বলা যেতে পারে। কারণ, এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই। অতএব ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখারও বিষয় নেই। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ আপনাকে বিনিয়োগের জন্য সঠিক ও সর্বোত্তম স্টক বাছাইয়ের দ্বিধা থেকেও রেহাই দেবে।

নতুন যুগের অ্যাপ

বেশ কয়েকটি অ্যাপ রয়েছে যেগুলির মাধ্যমে বিদেশি স্টকে বিনিয়োগ করা যায়। বিভিন্ন স্টার্ট আপ এই অ্যাপগুলি বাজারে ছেড়েছে করেছে।

যদিও মার্কিন স্টকে বিনিয়োগ আপাতদৃষ্টিতে বেশ আকর্ষণীয় হলেও এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। মার্কিন ইক্যুইটিতে আপনার বিনিয়োগের যাত্রা শুরু করতে চাইলে একাধিক পথ অনুসরণ করতে পারেন। যেখানে সরাসরি বিনিয়োগে ন্যূনতম ব্যালেন্সের প্রয়োজন। আবার অন্যদিকে পরোক্ষ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তা বাধ্যতামূলক নয়। আপনার পছন্দ ও সুবিধার উপর নির্ভর করে, পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণার পর আর্থিক উপদেষ্টার পরামর্শ নিয়ে বিনিয়োগের সঠিক পথ বাছাই করুন।

প্রতিবেদক সঞ্চয় উপদেষ্টা। বক্তব্য নিজস্ব।

বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE