পারপেচুয়াল বন্ডে বিনিয়োগের অর্থ নিয়মিত নির্দিষ্ট হারে উপার্জন। যেহেতু এই বন্ডের কোনও মেয়াদ পূর্তির তারিখ নেই, সুতরাং দীর্ঘ সময় জুড়ে আয় করা যায়। বাজারের অন্যান্য বিনিয়োগের রাস্তার তুলনায় এই বন্ডের বিনিয়োগে রিটার্ন বেশ ভাল।
প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এই বিনিয়োগ বিকল্পে নির্দিষ্ট মাসিক সুদ মেলে। এক দিকে যেমন কম ঝুঁকিপূর্ণ মাসিক আয়ের স্কিম, পাশাপাশি যথেষ্ট মূলধন সুরক্ষা প্রদান করে। এই দিকগুলি অবসরের প্রাথমিক বছরগুলিকে রক্ষা করে।
হাতে সময় থাকতেই আপতকালীন করপাস তৈরি করুন। ভাল স্টকে বিনিয়োগ করার চেষ্টা করুন। বিষয়গুলি জটিল করা উচিত নয় আমাদের। বরং লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এগুলি সহজ ভাবে দেখতে হবে।
আপৎকালীন অবস্থার জন্য একটি করপাস তৈরি করা জরুরি। আর এর জন্য ডেট ফান্ডে আরডি অথবা এসআইপি চালু করুন। আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য এই একই রকম আরও একটি তহবিল তৈরি করতে পারেন।
যদি এটি ঋণের উপর নির্ভরশীল হয় তা হলে আপনার নানা দায় এবং আয়ের প্রেক্ষিতে ইএমআই –তে কতটা মিটিয়ে পারবেন তা দেখতে হবে। আপনার সিদ্ধান্তে সাহায্য করার জন্য রইল একটি চেক লিস্ট।
একজন ভারতীয় ব্রোকারের সঙ্গে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলুন যার একজন বিদেশি ব্রোকারের সঙ্গে পার্টনারশিপ রয়েছে। বেশ কিছু জনপ্রিয় বিদেশি ব্রোকার রয়েছে যারা ভারতের বিনিয়োগকারীদের মার্কিন ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করতে দেয়।
একটি স্টক কেনার আগে সেই স্টকের অনুপাত সম্পর্কে জেনে নেবেন। মূল্য থেকে আয়ের অনুপাত, ডেট অর্থাৎঋণ থেকে ইক্যুইটির অনুপাত এবং মূল্য থেকে বুক ভ্যালু অর্থাৎ বই মূল্যের অনুপাত।
দীর্ঘমেয়াদের করপাসের ঝুলিতে ঋণ, ইক্যুইটি এবং রিয়েল এস্টেট, বিভিন্ন অনুপাতের এবং বিভিন্ন ম্যাচুওরিটির লগ্নি থাকা উচিত। তাঁর ঋণ: ইক্যুইটির অনুপাত সূত্র হবে, (১০০ – বয়স) = ইক্যুইটি ও বাকি ঋণ
সরকার অথবা ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে আপনার একটি ভাল প্রকল্প রিপোর্টের প্রয়োজন। আর এই প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করাটাই কিন্তু আসল কাজ। ঋণদাতা সংস্থাকে বোঝাতে হবে যে আপনি এই ব্যবসা করতে পারবেন।
যদি সুরক্ষিত ঋণ হয়, যেমন গাড়ি অথবা বাড়ি তা হলে ব্যাঙ্ক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তুলনামূলক হার এবং সংশ্লিষ্ট চার্জগুলি পরীক্ষা করে দেখুন। ক্রেডিট কার্ডে ঋণ না নেওয়াই ভাল।