ঘোলা জলেই ত্বক হবে কাচের মতো স্বচ্ছ। ছবি: সংগৃহীত।
কোরিয়ানদের মতো স্বচ্ছ ত্বক পাওয়ার আশা কার না থাকে? কিন্তু বিস্তর দাম দিয়ে বিদেশি প্রসাধনী তো সকলে কিনতে পারেন না। তার বিকল্প হিসাবে চাল ধোয়া জল ব্যবহার করেন। খরচ কম, চাল ধোয়া জল দিয়ে বাড়িতে টোনার বানিয়ে ফেলা যায় চট করে। কিন্তু এই প্রসাধনীটি তৈরি করতে কী ধরনের চাল ব্যবহার করা উচিত, তা কি জানেন? টোনার ছাড়া আর কী কী ভাবে এই চাল ধোয়া জল মাখা যায়?
ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, ত্বকের জন্য কোনও রকম প্রক্রিয়াবিহীন চালই আদর্শ। রূপচর্চায় চাল ধোয়া জলের ব্যবহার বহু পুরনো ঘরোয়া রেওয়াজ। কিন্তু, তা নিয়ে আলাদা করে কোনও গবেষণা নেই। তবে চালের জল মেখে ত্বকের খুব ক্ষতি হয়েছে বলেও শোনা যায়নি। চাল ধোয়া জল রেখে দিলে তা গেঁজিয়ে ওঠে। এই ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ার সময়ে ওই তরলের মধ্যে চাল থেকে বেশ কিছু ভিটামিন নির্গত হয়। তা বিশেষ করে তৈলাক্ত, ব্রণ-যুক্ত ত্বকের জন্য ভাল।
চাল ধোয়া জল মাখলে ত্বকের কী উপকার হয়?
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে চাল ধোয়া জল। ওপেন পোরসের সমস্যা থাকলে, তা-ও নিরাময় করে। ত্বকে তেল বা সেবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণেও এই জলের ভূমিকা রয়েছে। অনেকেই আজকাল মুখে রাসায়নিক বা কেমিক্যাল পিলিং করান। চাল ধোয়া জল কিন্তু তার বিকল্প হতে পারে।
চালের জল দিয়ে টোনার তৈরি করবেন কী ভাবে?
প্রথমে চাল ধুয়ে ঘণ্টা দুয়েক ভিজিয়ে রাখুন। তার পর ছাঁকনি দিয়ে চাল ছেঁকে নিন। পাত্রে যে চাল ধোয়া ঘোলাটে জলটুকু পড়ে থাকবে, তা দিয়েই তৈরি হবে টোনার। স্প্রে বোতলে ভরে তা বেশ কয়েক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। ফ্রিজে রাখলেও তা ভাল থাকে।
টোনারের বদলে চাল ধোয়া জল আর কী ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে?
চালের জল দিয়ে শিট মাস্ক তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। বাজারে কাগজ বা পাতলা কাপড়ের তৈরি মাস্ক কিনতে পাওয়া যায়। চাল ধোয়া জলে সেই মাস্কটি বেশ কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে নিয়ে মুখের উপর বিছিয়ে রাখতে পারেন। আবার, চাল ধোয়া জল দিয়ে মুলতানি মাটি বা বেসন গুলেও মুখে মাখা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy