এত দিনে প্রায় সকলেই জেনে গিয়েছেন, শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার কিনতে হয় চুলের ধরন বুঝে। কিন্তু চুলের পরিচর্যায় শ্যাম্পু বা কন্ডিশনারই তো সব কথা নয়। বাজারে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সিরাম।
সিরাম তেলের মতো ঘন নয়, আবার জলের মতো পাতলাও নয়। একেবারে গোড়ার দিকে সিরাম ব্যবহার করা হত চুল জটমুক্ত করার জন্য। তবে এখন চুলের নানা ধরনের সমস্যা সমাধানেও ব্যবহার করা হয় সিরাম। চর্মরোগ চিকিৎসক রিঙ্কি কপূর বলেন, “দূষণ তো বটেই, সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে চুলের ক্ষতি রোধ করে হেয়ার সিরাম। চুলে কায়দা করতে গিয়ে অনেক সময়েই অতিরিক্ত তাপ দিতে হয়। সিরাম কিন্তু সেই ক্ষতিও রুখে দিতে পারে।” তবে যে কোনও ধরনের সিরাম যে কেউ ব্যবহার করতে পারেন না।
আরও পড়ুন:
সিরাম কেনার আগে কোন কোন বিষয়ে নজর রাখা প্রয়োজন?
সিরাম চুলের জন্য ভাল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে মুখে মাখার ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজ়ার যদি ত্বকের ধরন অনুযায়ী কিনতে হয়, তা হলে সিরামের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হওয়ার কথা নয়। চর্মরোগ চিকিৎসক প্রবীন বানোদকর বলেন, “শীতের হাওয়ায় চুলের রুক্ষ ভাব আরও বেড়ে যেতে পারে। যাঁদের চুল আগে থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা কোঁকড়ানো, তাঁরা চোখ বন্ধ করে হাইড্রেটিং সিরাম ব্যবহার করতে পারেন।”
চুল খুব পাতলা হলেও সমস্যা। তেল তো মাখতে পারেনই না। শ্যাম্পু করার কিছু ক্ষণ পরেই চুল একেবারে মাথায় পেতে বসে থাকে। প্রবীনের মত, “এ ক্ষেত্রে ভলিউমাইজ়িং সিরাম ব্যবহার করা ভাল। চুলে ফোলা ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে এটি। কিন্তু ঘন ঘন রাসায়নিক ব্যবহারে চুলের মান যদি খারাপ হয়ে গিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে বন্ড-রিপেয়ারিং সিরাম দারুণ কাজের।”
আরও পড়ুন:
কী ভাবে চুলে সিরাম মাখতে হয়?
১) প্রথমে চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু করে নিন। তার পর তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ।
২) আধশুকনো অবস্থায় চুলে সিরাম মাখতে হয়। দু’হাতের তালুতে সিরাম নিয়ে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভাল করে মেখে নিন।
৩) চুলের গোড়ায় সরাসরি সিরাম না লাগানোই ভাল। কারণ, এই সিরামের মধ্যে নানা ধরনের সক্রিয় উপাদান থাকে। সেখান থেকে মাথার ত্বকে অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।