—নিজস্ব চিত্র।
ফের নদীপার ভাঙন শুরু হয়েছে নিম্ন গঙ্গায়। চোখের সামনে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি। নতুন করে ভাঙনের আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে শমসেরগঞ্জে গঙ্গাপারের বাসিন্দাদের।
গত কয়েক দিন ধরে ঝাড়খণ্ডে নিম্নচাপজনিত বৃষ্টি থামার নাম নেই। তার প্রভাব পড়েছে মুর্শিদাবাদেও। দিন কয়েকের বৃষ্টিতে বেড়েছে নিম্ন গঙ্গার জলস্তর। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নদীর ভাঙন। সবচেয়ে খারাপ চিত্র শমসেরগঞ্জ ব্লকের চাচণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর চাচণ্ড গ্রামে। সেখানে শুক্রবার দুপুর থেকে এখনও পর্যন্ত নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে কয়েক বিঘা জমি এবং একটি বাঁশঝাড়। যে গতিতে ভাঙন এগিয়ে আসছে জনবসতির দিকে, তাতে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তলিয়ে যেতে পারে গোটা পাড়া— এমনটাই আশঙ্কা স্থানীয়দের।
স্থানীয় সূত্রের খবর, চলতি মরসুমের শুরু থেকেই শমসেরগঞ্জ ও ফরাক্কার গঙ্গা তীরবর্তী একাধিক অঞ্চলে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। চাচণ্ড ও প্রতাপগঞ্জ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় তলিয়ে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা জমি। প্রতাপগঞ্জের লোহরপুর গ্রামে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। শিবপুর গ্রামেও নদীভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে গৃহহীন হয়েছে একাধিক পরিবার। নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্কে প্রহর গুনছেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা রহমান মণ্ডল জানাচ্ছেন, এ বার যে গতিতে ভাঙন শুরু হয়েছে, তা এখনই আটকানো না গেলে গ্রামটাই তলিয়ে যেতে পারে। শুক্রবার ভাঙন শুরু হতেই আতঙ্কে ঘর ছেড়ে নিরাপদে অন্যত্র চলে যেতে শুরু করেছে কিছু পরিবার। বিডিও সুজিতচন্দ্র লোধও জানিয়েছেন, এর মধ্যেই বাঁশঝাড়-সহ কয়েক বিঘা তলিয়ে গিয়েছে। এখন গ্রামের মানুষদের একমাত্র ভরসা মাটির বাঁধ। সেচ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সতর্ক হয়েছে প্রশাসন।
যদিও চাচণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফিরদৌসী খাতুন বলছেন, ‘‘নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ার খবর এখনও আমাদের কাছে আসেনি। ওই গ্রামের খুব কাছ দিয়েই বইছে গঙ্গা। ফলে নদী যদি আর কয়েক মিটারও এগিয়ে আসে, তা হলেই নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে একাধিক বাড়িঘর। গোটা বিষয়টি আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy