বদলাপুর-কাণ্ডে তদন্তের স্বার্থে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। সেই দল জানিয়ে দিল, বদলাপুরের স্কুলে দুই খুদে পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহের ঘটনায় দায় স্কুল কর্তৃপক্ষেরও। ঘটনার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ, তিন দিন পেরিয়ে গেলেও দায়ের হয়নি অভিযোগ। তাই পকসো আইন অনুযায়ী দোষী তাঁরাও।
সিট জানিয়েছে, ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। সিটের তদন্ত রিপোর্টে নাম রয়েছে স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা, শিক্ষিকা এবং দুই পরিচারিকার। অবশ্য স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ওই স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই দুই খুদে পড়ুয়ার শ্রেণিশিক্ষিকা এবং স্কুলের দুই পরিচারিকা ঘটনাটির বিষয়ে জানতেন। তাঁরা আরও কিছু জনকে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী, তাঁদের উচিত ছিল অবিলম্বে থানায় অভিযোগ করা। এ বিষয়ে নিজেদের গাফিলতি স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৩ অগস্ট। অভিযোগ, ওই দিন বদলাপুরের এক স্কুলে নার্সারির দুই পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহ করে স্কুলেরই এক সাফাইকর্মী। ঘটনার তিন দিন পর, ১৬ অগস্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবকেরা। পরিবারের দাবি, থানায় অভিযোগ জানানোর ১১ ঘণ্টা পর এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় ১৭ তারিখেই স্কুলের এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। আগামী ২৬ অগস্ট পর্যন্ত তাঁর পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তাল বদলাপুর। সোমবার সারা দিন রেলস্টেশন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে জনতা। এমনকি শনিবার মহারাষ্ট্র বন্ধেরও ডাক দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
বদলাপুরকাণ্ডে নড়েচড়ে বসেছে মহারাষ্ট্র সরকারও। আগামী এক মাসের মধ্যে রাজ্যের সব স্কুলে বসছে সিসিটিভি ক্যামেরা। বুধবার একটি সরকারি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, অবিলম্বে নজরদারি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ না মানলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এমনকি স্কুল চালানোর অনুমতিও বাতিল করে দেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেসরকর।