দীপাশ্রী চক্রবর্তী নিজস্ব চিত্র
কুকুরের কামড় খেয়ে হাসপাতালে টিকা নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু টিকা নেওয়ার পরেই মৃত্যু হল এক যুবতীর। যদিও হাসপাতাল বলছে, মৃত্যুর কারণ চিকিৎসায় অবহেলা বা টিকা নয়। মৃতের নাম দীপাশ্রী চক্রবর্তী (১৯)। বৃহস্পতিবার কুকুরের কামড়ে গুরুতর জখম অবস্থায় মায়ের সঙ্গে হাওড়ায় পুর গ্রামীণ হাসপাতালে আসেন দীপাশ্রী। সেখানেই তাঁকে ‘অ্যান্টি রেবিজ’ টিকা দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, টিকা নেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় দিপাশ্রীর। ঘটনার পর হাসপাতালে ব্যপক ভাঙচুর চালায় মৃতের পরিবারের লোকেরা।
পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবতীর। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে আসে দাসনগর থানার পুলিশ। ওই যুবতীর বাবা দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আজ সকালে মেয়েকে কুকুরে কামড়ায়। সে তাঁর মায়ের সঙ্গে গ্রামীণ হাসপাতালে আসে। কিন্তু টিকা নেওয়ার পর শারীরিক অবস্থার ক্রমে অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসকদের বারবার বলা সত্ত্বেও তাঁরা কোনও গুরুত্ব দেননি।’’
পরিবার ও আত্মীয়-বন্ধুরা অভিযোগ করেছেন, অনেকক্ষণ ধরে কার্যত বিনা চিকিৎসায় পড়ে ছিলেন যুবতী। এরপর অ্যাম্বুল্যান্সে হাওড়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের অভিযোগ, টিকা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর চিকিৎসা ঠিক মতো করলে দীপাশ্রীর মৃত্যু হত না। এই ঘটনায় তাঁরা তদন্ত দাবি করেছেন।
হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘কুকুরে কামড়ানোর টিকা নিলে কারওর মৃত্যু হয় না। ওই যুবতী টিকা নেওয়ার পর হাসপাতাল থেকে চলে গিয়েছিলেন। তার পর শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে আবার আসেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy