পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থেকে পুণ্যার্থীদের নিয়ে বাস চালিয়ে প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলার উদ্দেশে তিনি রওনা দিয়েছিলেন গত সোমবার। কিন্তু মাঝপথে বাস ছাড়তে হয়। মঙ্গলবার বিকেলের পর আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বাড়ির লোক। রেল পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে বিহারের ডেহরি অন সোন স্টেশন থেকে চলন্ত ট্রেন ধরতে গিয়ে পড়ে মৃত্যু হয় অসিত দাস (৩৯) নামে আরামবাগের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই যুবকের।
পুলিশ ও ওই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রওনা হওয়ার সময় অসিতের সঙ্গে আরও এক চালক ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে বারাণসী সংলগ্ন বিহার সীমান্তের কাছে দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে পড়েন অসিতরা। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে অসুত বাস থেকে নামার পরেই যানজট কাটে। পুলিশের তাড়ায় অন্য চালক বাসটিকে নিয়ে এগিয়ে যান। অসিত আর বাসটি ধরতে পারেননি। মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ির লোককে ফোনমে সে সব কথা জানান। তারপর থেকেই তাঁর ফোন বন্ধ হয়ে যায়।
এ দিন সকালে বিহার রেল পুলিশের কাছ থেকে পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন, চলন্ত ট্রেন ধরতে গিয়ে অসিতের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর স্ত্রী মধুমিতা জানান, মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকে অসিতের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না-পেরে আরামবাগ থানার সাহায্য চাইতে যান তিনি। বিহার রেল পুলিশ অসিতের পকেটে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের মাধ্যমে বাড়িতে ফোন করে বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, ‘‘ওখান থেকে কুম্ভমেলা যাওয়য়ার কথা ছিল ওর। তার আগেই দুর্ঘটনা।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)