দীপক চাহার। ছবি এপি।
পাওয়ার প্লে-তে তিন উইকেট তুলে নিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারানোর পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। যে সাফল্যের পিছনে রয়েছে অনুশীলন এবং পরিকল্পনা। কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা হয়ে যে কথা বলেছেন দীপক চাহার।
গত বছর পুণের পিচে অনেক ম্যাচ খেলতে হয়েছিল সিএসকে-কে। যেখানে পেস বোলাররা সুবিধে পেয়েছিলেন। কিন্তু এ বারে চেন্নাইয়ে এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে খেলতে হচ্ছে বলে নিজেকে বদলে নিয়েছিলেন চাহার। কী করেছিলেন তিনি? চাহার বলেছেন, ‘‘জানতাম, চেন্নাইয়ের পিচে সে ভাবে সাহায্য পাব না। তাই নিজেকে অন্য ভাবে তৈরি করেছিলাম। এখানে লেংথ এবং লাইন খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে বল সুইং করে, সেখানে লেংথে একটু গোলমাল হলেও সামলে দেওয়া যায়। কিন্তু নিষ্প্রাণ উইকেটে, যেখানে বল সুইং করছে না, সেখানে ঠিক লাইন-লেংথে বল করাটা খুবই জরুরি।’’
এই লাইন-লেংথে গোলমাল করেই অবশ্য আগের ম্যাচে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির কাছে ধমক খেয়েছিলেন চাহার! কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ম্যাচে ১৯তম ওভারে এসে দু’টো বিমার (ব্যাটসম্যানের কোমরের ওপর থাকা ফুলটস বল) দিয়ে বসেন এই পেসার। দু’টোই বাউন্ডারিতে যায়, দুটো বলই ‘নো’ ডাকেন আম্পায়াররা। এর পরে দেখা যায় উত্তেজিত ধোনি এসে কথা বলছেন চাহারের সঙ্গে। কী হয়েছিল ওই ম্যাচে? চাহার বলেছেন, ‘‘ম্যাচের পরে অনেকেই আমার কাছে এই প্রশ্নটা করেছিলেন। আমার মনে হয়, ধোনি খুব রেগে গিয়েছিল। রেগে যাওয়াটা স্বাভাবিক। আমি অধিনায়ক হলেও রেগে যেতাম। আমি যে বলটা করতে চেয়েছিলাম, ভিজে বলে সেটা করা সম্ভব হচ্ছিল না। সে জন্য ধোনি আমাকে অন্য ডেলিভারি করার কথা বলে।’’ ধোনির সেই ধমকের পরেই নিজেকে বদলে নেন চাহার। বাকি ছয় বলে ছয় রান দেন তিনি, তুলে নেন ডেভিড মিলারের উইকেট। চেন্নাইও হারিয়ে দেয় পঞ্জাবকে।
লাইন-লেংথের পাশাপাশি নিজের তূণে নতুন অস্ত্রও এ বার যোগ করেছেন চাহার। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বেশি করে স্লো বল আর স্লোয়ার বাউন্সার করার উপরে জোর দিচ্ছি। জানতাম, এই উইকেটে সেটা কাজে আসবে। এটুকু বলতে পারি, গত বারের চেয়ে এ বারও আমিও আরও উন্নত ক্রিকেটার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy