ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও খরচে চাকরিজীবনে বালুরঘাট থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরের মস্তৈল গ্রামে অনাথ আশ্রম তৈরি করেছিলেন রণজিৎ দত্ত। —নিজস্ব চিত্র।
দিদা। এই একটি ডাকই শিখেছিল ছোট্ট রিঙ্কু। বাবা-মা কোথায়, জানত না। কখনও ওদের সম্পর্কে শোনেওনি। বাড়িতে দিদা আর সে। ছোটবেলা থেকেই দেখেছে, দিদার টানাটানির সংসার। নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। ভাল করে খাওয়াই হয় না, তো অন্যান্য জিনিস! সে সব দিন ভাল করে মনেও নেই রিঙ্কুর। তবে এটুকু মনে আছে, অভাবের কারণে এক দিন দিদা গ্রামতুতো ‘মানিকমামা’কে দিয়ে তাকে পাঠিয়ে দিয়েছিল মাস্টারমশাইয়ের কাছে। তার পর থেকে জীবনটা একটু একটু করে পাল্টাতে শুরু করে। সেই রিঙ্কু রায় এখন তামিলনাড়ুর তিরুপুর জেলায় থাকেন। কাজ করেন একটা টেক্সটাইল কোম্পানিতে। দেশের বাড়িতে ফিরলে আজও দেখা করেন মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গে। যান তাঁর আশ্রমে। যে অনাথ আশ্রমে জীবন শুরুর দিনগুলো কেটেছে রিঙ্কুর।
যে মাস্টারমশাই জীবন বদলে দিয়েছিলেন রিঙ্কুর, গত প্রায় সিকি শতক ধরে তিনি একক প্রচেষ্টায় একটি অনাথ আশ্রম চালাচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রত্যন্ত এক গ্রামে। মস্তৈল। জেলাসদর বালুরঘাট থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে সেই আশ্রম শুরু হয়েছিল রিঙ্কুকে দিয়েই। এখন সেখানে আবাসিক অন্তত ৩০ জন অনাথ ছেলে। তাদের বেশির ভাগই আদিবাসী নাবালক। প্রথম জীবনে রেডিয়ো-টিভি সারানোর মিস্ত্রি রণজিৎ দত্ত এখন মানুষের জীবন সারাই করেন। সব অর্থেই। মস্তৈল এসেছিলেন শিক্ষকতা করতে। কিন্তু অনুন্নত এই গ্রামকে ভালবেসে তাঁর আর ফেরা হয়নি বালুরঘাটে। একেবারেই ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও খরচে চাকরি জীবনে তৈরি করেছিলেন এই অনাথ আশ্রম। অবসরের পরেও থেকে গিয়েছেন সেখানে। আশ্রম চালানোর পাশাপাশি গ্রামের মানুষের চিকিৎসাও করেন তিনি। কোনও কিছুর জন্যই পয়সা নেন না। চলে কষ্টেসৃষ্টে। কিন্তু হাত পাততে চান না রণজিৎ।
আশ্রমিকদের সঙ্গে রণজিৎ। —নিজস্ব চিত্র।
প্রায় ২৬ বছর আগে মস্তৈলের বাগডুমা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের চাকরি পেয়ে এসেছিলেন। আশপাশের প্রায় ১০-১২টা পাড়ার জন্য একটাই প্রাইমারি স্কুল। পড়ুয়ার সংখ্যা ১৮০-র মতো। কিন্তু বেশির ভাগই স্কুলে আসে না। স্কুলের হেডমাস্টারকে জানিয়ে রণজিৎ সেই সময় সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাতেন। বেশির ভাগ পাড়াই তফসিলি জাতি ও জনজাতি অধ্যুষিত। সকলেই আর্থিক ভাবে ভীষণ পিছিয়ে। স্কুলে এলে খাবার আর পোশাক মিলবে— এই প্রতিশ্রুতি দিতে থাকলেন রণজিৎ। কাজ হল। বাচ্চারা আবার স্কুলমুখী। প্রতি দিনের খাবারের খরচ মাইনের টাকাতে হয়ে গেলেও, এতগুলো বাচ্চার স্কুল ড্রেসের জন্য এক লপ্তে রণজিতের খরচ হয়ে গিয়েছিল প্রায় ৩২ হাজার টাকা! ১৯৯৭ সালে সেটা নেহাত কম ছিল না! সঞ্চয় ভেঙে সবটা করেছিলেন, প্রাণের আনন্দে।
কিন্তু সমস্যা দেখা গেল অন্যত্র। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে কেউ পড়াশোনা করে না সে ভাবে। রণজিৎ তাই এক বছরের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিলেন, স্কুলের পাশেই থাকবেন। বালুরঘাট থেকে প্রতি দিন ১৪০ কিলোমিটার আসা-যাওয়া করে গ্রামের বাচ্চাদের সেই ভাবে তিনি সময় দিতে পারছিলেন না। ইতিমধ্যেই গ্রামের মানুষের মন জয় করে ফেলেছিলেন। এর পর গ্রামেরই একটু শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের দিয়ে পাড়ায় পাড়ায় টোল খুললেন। নিজের মাইনের পয়সা থেকে তাদের বেতন দিলেন। নিজেও পড়াতে যেতে লাগলেন অবৈতনিক ওই টোলে। দুপুরে স্কুল। আর সকাল-বিকেল টোল। এ ভাবেই চলছিল। কিন্তু রণজিতের মাথায় অনেক দিন থেকেই একটা সুপ্ত ইচ্ছা ছিল। একটা আশ্রম খোলার। এক দিন গ্রামসভার বৈঠকে প্রস্তাব দিলেন। গ্রামের সকলকে জানালেন, প্রথাগত শিক্ষার বাইরে তিনি যে সব কারিগরি বিদ্যা জানেন, হাতেকলমে সে সব শেখাতে চান। গ্রামের অনেকে যাতে সে সব শিখে অর্থনৈতিক ভাবে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলতে পারেন। প্রস্তাবে সাড়া দিল গোটা গ্রাম। শ্মশানের দিকে পরিত্যক্ত অনেকটা জমি ছিল। ভূতের ভয়ে কেউ সে দিকে যেতেন না। জমিমালিক রণজিৎকে সেই জমি দিয়ে দিলেন। তবে সরাসরি নয়, রণজিতের ইচ্ছা মতো আশ্রমের নামে প্রায় দু’বিঘে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হল। সেখানেই ১৯৯৮ সালে পাটকাঠির বেড়া দিয়ে এক কামরার এক ঘর তুলে থাকতে শুরু করলেন গ্রামের নতুন মাস্টার রণজিৎ।
রণজিতের আশ্রমে এখন ৩০ জন অনাথ বাচ্চা রয়েছে। প্রার্থনার লাইনে সেই আশ্রমিকেরা। —নিজস্ব চিত্র।
কিছু দিনের মধ্যেই নতুন মাস্টারের কাছে সাড়ে পাঁচ বছরের ছোট্ট এক ছেলেকে নিয়ে হাজির পেশায় জীবনবিমার এজেন্ট মানিক সরকার। ছেলেটার নাম রিঙ্কু। বাবা-মা কেউ নেই। মানিকের কথায় প্রথমে রাজি হতে পারেননি রণজিৎ। শহর থেকে বছরখানেক আগে প্রত্যন্ত এই গ্রামে এসেছেন। অচেনা বাচ্চাকে আশ্রমে কোনও কাগজপত্র ছাড়াই রাখলে উটকো ঝামেলায় পড়বেন না তো! কিন্তু বাবা-মা নেই, দিদিমা আর টানতে পারছেন না, বাচ্চাটাকে তিনি না-রাখলে অতলে পড়ে যাবে— মানিকের এমন জোরাজুরিতে শেষমেশ রাজি হয়ে যান। আশ্রমের সেই শুরু। ১৯৯৮ সাল।
পরের ২৫ বছর পেরিয়ে রণজিতের আশ্রমে এখন অন্তত ৩০ জন অনাথ বাচ্চা রয়েছে। ইতিমধ্যে অনাথ আশ্রম চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সরকারি কাগজপত্র তৈরি করে নিয়েছেন। প্রথম আশ্রমিক সেই রিঙ্কু ‘জয়রাধা সুদর্শন লাল নীলকণ্ঠ সর্ব অনাথ আশ্রম’ থেকে পড়াশোনা ও জীবনের পাঠ নিয়ে এখন তামিলনাড়ুতে থাকেন। রণজিতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও আছে। মাঝেমাঝে আশ্রমে আসেন। আশ্রমিকদের জন্য নিয়ে আসেন ফলমূল, অন্যান্য খাবারদাবার, পোশাক। রিঙ্কুর কথায়, ‘‘দিদাকে ছাড়া ছোট থেকে কাউকে চিনতাম না। অভাবের সংসারে আমাকে মানুষ করা দিদার পক্ষে অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল একটা সময়। মানিকমামা মাস্টারমশাইয়ের কাছে না নিয়ে গেলে কী যে হত! আমার জীবন গড়ে দিয়েছেন উনি। এ ঋণ কোনও ভাবেই শোধ করার নয়।’’
জিমন্যাস্টিকে পুরস্কার জেতার পর আশ্রমিকদের সঙ্গে রণজিৎ ও সায়ন্তিকা। —নিজস্ব চিত্র।
রণজিতের বয়স এখন ৬৮। স্কুল থেকে অবসরগ্রহণ করেছেন ২০১৬ সালে। মস্তৈল আসার আগে ‘ভারত দর্শন’ হয়েছিল তাঁর। পড়াশোনা শেষে বালুরঘাট থেকে ১৯৭৪ সালে এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করেছিলেন ইলেকট্রনিক্সে। তার পর থেকে টিভি-রেডিয়ো-সহ নানা ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র সারাই করতেন। কাজের সুবাদেই গোটা ভারতের একটা বড় অংশে গিয়েছেন। থেকেছেন। কখনও পঞ্জাব, কখনও লখনউ, কখনও বেঙ্গালুরু— এমনকি, ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারেও চুক্তিভিত্তিক কাজ করেছেন। তখনও বিয়ে-থা করেননি। তার পর একটা সময় ফিরে এসে বালুরঘাটের নিউ মার্কেটে টিভি-রেডিয়ো সারাইয়ের দোকান দিলেন। পসার যখন বেশ জমে উঠেছে, সেই সময়েই চাকরি পেয়ে মস্তৈল চলে আসা।
স্কুলজীবন থেকে হোমিওপ্যাথি চর্চাতেও মনোনিবেশ করেছিলেন রণজিৎ। বিভিন্ন চিকিৎসকদের সংস্পর্শের পাশাপাশি তিনি প্রচুর বইও পড়েছেন ওই চিকিৎসাশাস্ত্র বিষয়ে। তাঁর দাবি, একটা সময়ের পরে চিকিৎসার বিষয়টি আয়ত্তে চলে আসে। মস্তৈল এসে দেখেন গোটা গ্রামে একজনও ডাক্তার নেই। রাতবিরেতে কেউ অসুস্থ হলে পরিবারের লোকজন অসহায় বোধ করেন। হাল ধরলেন রণজিৎ। চিকিৎসার কাজ শুরু করলেন। বিনা পয়সায় রোগী দেখা, সঙ্গে ফ্রি-তে ওষুধও। কী ভাবে চলে এত কিছু? রণজিৎ বললেন, ‘‘২০ হাজার টাকা পেনশন পাই। সেই টাকাতেই সবটা সারতে হয়। আশ্রমের খাবারের চাল-ডাল আসে গ্রামের বাড়ির জমি থেকে। বালুরঘাট থেকে প্রায় ১০ মাইল উত্তর দিকের কুমারগঞ্জে আমার গ্রামের বাড়ি।’’
এ সব কাজে সারা জীবন রণজিৎ পরিবারের সম্মতি ও সহযোগিতা পেয়েছেন। এখনও পান। স্ত্রী টুলু দত্ত বিয়ের পর থেকেই স্বামীর এই সব কাজে অভ্যস্ত। চাকরি পাওয়ার পর থেকেই মাসের একটা বড় সময় মস্তৈলের অনাথ আশ্রমেই থাকতেন রণজিৎ। মাঝেমাঝে যেতেন বালুরঘাটের বাড়িতে। মেয়ে সায়ন্তিকাকে নিয়ে স্ত্রী-ই বরং তাঁর কাছে এসে থাকতেন। সকলে মিলে কাজ করতেন আশ্রমের। এখনও যেমন করেন। মায়ের থেকে মেয়েই এখন বেশি সময় দেন আশ্রমকে। সায়ন্তিকার বয়স ২৭। এমএ, বিএড করার পাশাপাশি নিয়েছেন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ। তিনিও আশ্রমে এসে বাচ্চাদের পড়ান। খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করেন। সায়ন্তিকা বললেন, ‘‘ছোটবেলা থেকেই বাবাকে এই ভূমিকাতে দেখে এসেছি। ওঁর কাছ থেকেই কাজ শিখেছি। আমি বাবার এই স্বপ্ন লালন ও পালন করে যাব। সমাজসেবা করার চেয়ে বড় কাজ আর কিছু নেই।’’ তবে রণজিতের আশ্রমে কোনও মেয়েকে রাখা হয় না। নিরাপত্তার কারণেই। সায়ন্তিকার কথায়, ‘‘আসলে আশ্রমের ঘরবাড়ি অতটা ভাল নয়। পাঁচিল নেই। পিছন দিকটা খোলা। প্রত্যন্ত গ্রামের ভিতর। ঝুঁকি নিতে পারেন না বাবা।’’
রণজিতের এখনকার আশ্রমিকেরা। — নিজস্ব চিত্র।
বছর পাঁচেক আগে পর্যন্তও রণজিতের আশ্রমে বিদ্যুৎ ছিল না। ছিল না পাকা ঘর। কেরোসিনের বাতিতে পড়াশোনা-সহ অন্যান্য কাজ হত। এখন বিদ্যুৎ এসেছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় একটা পাকা ঘরও হয়েছে। সেই আশ্রম থেকেই এ বার মাধ্যমিক পাশ করেছে দু’জন। রেজাল্ট বিশেষ ভাল না হলেও রণজিৎ তাতেই খুশি। চিত্ত বাস্কে আর কৌশিক রায়— মাধ্যমিক পাশ করা ওই দুই আবাসিকও খুশি। চিত্ত যেমন বলছে, ‘‘আমার তো কেউ নেই। কখনও ভাবিনি জীবনে এত দূর আসব! মাধ্যমিক পরীক্ষা দেব! পাশ করেছি এটাই ঢের। স্যর খুশি হলে আমিও খুশি।’’ আর কৌশিক বলছে, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিকে আরও ভাল ফল করব। করতেই হবে। মাস্টারমশাইয়ের মান রাখতে হবে। ওঁর পরিশ্রমের দাম এ ভাবেই আমি দিতে চাই।’’ রণজিৎ-সায়ন্তিকার পাশাপাশি, আশ্রমের নাইট গার্ড, দু’জন হোল টাইমার আর আলাদা করে তিন জন প্রাইভেট টিউটর পড়ান আবাসিকদের। ওঁদের কাছের একটি বেসরকারি স্কুলেও পাঠান রণজিৎ। ক্লাস সিক্স পর্যন্ত ‘নবাঙ্কুর’ নামের ওই স্কুলে পড়ার পর পাশের সরকারি স্কুলে চলে যায় পড়ুয়ারা।
আশ্রমে পড়াশোনার পাশাপাশি শেখানো হয় রেডিয়ো-টিভি-সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স জিনিস সারানোর কাজ। একই সঙ্গে চলে হোমিওপ্যাথির চর্চা। সঙ্গে যোগ ও জিমন্যাস্টিক। রণজিৎ নিজের হাতেই সবটা শেখান। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রতিযোগিতাতে অংশ নেয় আবাসিকেরা। নিয়ে আসে বিভিন্ন পুরস্কারও। একটা বয়সের পর আশ্রমিকদের বিভিন্ন ধরনের কাজে জড়িয়ে দেন রণজিৎ। পুরনো আশ্রমিকদের কাছে প্রথমে কাজের জন্য বলা হয়। তাঁরা ভারতের বিভিন্ন জায়গাতেই কাজের সুবাদে ছড়িয়েছিটিয়ে আছেন। এ ছাড়া রণজিতের প্রাক্তন সব ছাত্র তো রয়েইছেন। এখনও পর্যন্ত হাজারখানেক ছাত্রের জীবন বদলে দিয়েছেন তিনি। একক রণজিৎ দত্তের প্রচেষ্টায় মস্তৈল এখন নতুন চেহারা নিয়েছে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই নিজের জীবন দর্শন গড়তে চেয়েছিলেন রণজিৎ। এখনও সেই পথে বিচ্যুত হননি। রণজিতের কথায়, ‘‘আমার যতটুকু সাধ্য ছিল, করেছি। এখনও করে চলেছি। বিদ্যাসাগরমশাই তাঁর মা-কে কথা দিয়েছিলেন। আমি কথা দিয়েছিলাম নিজেকে। এই বয়সে এসে ইদানীং মনে হয় একটু অবলম্বন প্রয়োজন। মেয়ে পাশে আছে। প্রাক্তনীদের সঙ্গে বর্তমানের আশ্রমিকেরাও রয়েছে। এগিয়ে যেতে চাই।’’
রিঙ্কু প্রথম। এখনও পর্যন্ত শেষ যে আশ্রমে এসেছে, তার বয়স ছয়। বাচ্চাটির দাদু এসে রণজিতের হাতে তাকে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই শিবনাথ মুর্মু এখন আশ্রমের নিরাপদ আশ্রয়েই বড় হচ্ছে। আর অনাথের নাথ হয়ে সবটা সামলান রণজিৎ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy