২১ ডিসেম্বর ২০২৪
Fulrida Ekka

বেধড়ক মার খেতে খেতে এক দিন উঠে দাঁড়ালেন ফুলহৃদা এক্কা, বদলে গেল চা-বাগান

নিজের প্রমীলা বাহিনীকে সব সময় ফুলহৃদা বোঝান, নারী আসলে অবলা নয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের জন্য অনেক আইনকানুন রয়েছে। শুধু ভয় পেলে চলবে না।’’

Fulrida Ekka

নিজের প্রমীলা বাহিনীকে সব সময় ফুলহৃদা বোঝান, নারী আসলে অবলা নয়। —নিজস্ব চিত্র।

পার্থপ্রতিম দাস
পার্থপ্রতিম দাস
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৩ ০৯:০২
Share: Save:

উঠে দাঁড়ালেন তিনি। খালি হাতেই। যখন দরকার পড়ল, সেই হাতে উঠে এল লাঠিও। চা-বাগানের মার খেতে খেতে কুঁকড়ে থাকা এক নারী উঠে দাঁড়ালেন, ‘যেমন দাঁড়ায়, বন্দিনী এক বাঘিনী চিতা’!

ছিপছিপে চেহারায় তেমন কোনও কাঠিন্য নজরে আসে না। সাদরি আর হিন্দি মিশিয়ে যখন আস্তে আস্তে কথা বলেন, তখনও মনে হয়, নেহাতই নিরীহ। কিন্তু গোটা গঙ্গারাম চা-বাগানের মহিলারা ভরসা করেন এই নারীর শক্তিতে। ভরসা জোগানোর মতো কাজই তো এতগুলো বছর ধরে করে আসছেন তিনি। গঙ্গারাম চা-বাগানে সব বিভাগ মিলিয়ে দশেরও বেশি গ্রাম রয়েছে। গত প্রায় ২৫ বছর ধরে এই সব গ্রামের মহিলারা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হলেই ছুটে গিয়েছেন তিনি। বাঁচিয়েছেন। গড়ে তুলেছেন প্রতিরোধ। কখনও-সখনও প্রয়োগ করতে হয়েছে লাঠ্যৌষধি। জড়িয়ে ধরেছেন। সাহস জুগিয়েছেন। ফলে সিকি শতকে অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে এই চা-বাগানের পরিবারিক চরিত্র। আর বদলে যাওয়া এই জনপদের মূল চরিত্র হয়ে উঠেছেন ফুলহৃদা। ফুলহৃদা এক্কা। এখনও তাঁর লড়াই থামেনি। তবে, আজ তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে রয়েছে গোটা চা-বাগানের প্রমীলা বাহিনী।

বয়স ষাট পেরিয়েছে কয়েক বছর। সঠিক কত হল, জিজ্ঞেস করলে হালকা হাসি ভাসিয়ে বলেন, ‘‘মনে আছে নাকি সে সব!’’ তবে নিজের পুরনো গল্প বলতে থাকেন। হাসিমুখেই বলতে থাকেন, জন্ম তৎকালীন বিহারে (এখন ঝাড়খণ্ড)। রাঁচীর একটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন বাবা ক্লেমেন্ট তির্কি। রাঁচীরই একটি কনভেন্ট স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন ফুলহৃদা। তার পর আর এগোতে পারেননি। ইচ্ছে ছিল, কিন্তু বাবার সামর্থ্য ছিল না। আট ভাই-বোন। সকলের বড় ফুলহৃদা। ঠাকুরদা কর্মসূত্রে থাকতেন পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির গঙ্গারাম চা-বাগানে। ক্লেমেন্ট বড় মেয়েকে সেখানেই দাদুর দেখভালের কাজে পাঠিয়ে দিলেন। ফুলহৃদার কথায়, ‘‘আসলে সংসার, বাকি ভাই-বোনদের পড়াশোনা, বাবা আর পেরে উঠছিল না। মনে আছে আমাকে বলেছিল, ‘তোমাকে একা পড়ালেই তো চলবে না। তোমার বাকি ভাই-বোনেরাও তো রয়েছে।’ আমি চলে এলাম এই চা-বাগানে। আর ফিরলাম না। বাগানটাই আমার সব হয়ে গেল যে!’’ আশির দশকের প্রথম দিকে গঙ্গারাম চা-বাগানে এসেছিলেন। এখনও তিনি শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ঘোষপুকুর ব্লকের সেই বাগানের মাছুয়া লাইনেই থাকেন। এখনকার মতো এই এলাকা তখন এতটাও উন্নত হয়নি। চা-বাগানে যাঁরা থাকতেন, বাইরের জগৎ সম্পর্কে তাঁদের তেমন কোনও ধারণাও ছিল না। ঠাকুরদাকে দেখাশোনার পাশাপাশি বাগানের কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ে কিশোরী ফুলহৃদা।

সবই ঠিকঠাক চলছিল। এর মধ্যে চা-বাগানেরই কর্মী ইসডোর এক্কার সঙ্গে পরিচয় হল। বাড়ল মেলামেশা। হল প্রেম। তার পর এক দিন বিয়েও করে ফেললেন ফুলহৃদা। প্রথম কিছু দিন ভালই কেটেছিল। কিন্তু তার পরেই শুরু অশান্তি। বিয়ের আগে থেকেই কিশোরী ফুলহৃদা নানা সামাজিক কাজেকম্মে জড়িয়ে থাকতেন। বাগানের সকলের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করতেন। বিপদেআপদে দৌড়ে যেতেন। স্থানীয় গির্জাতেও যেতেন, সেখানকার ফাদার-সিস্টারদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। কিন্তু বিয়ের পর বুঝতে পারলেন, এ সব মেলামেশা মোটেই পছন্দ করছেন না ইসডোর। সেই সময় ইসডোরের কাজের পরিসরেও কিছুটা বদল হল। ফুলহৃদার কথায়, ‘‘বাবুর ঘরে কাজ করার দায়িত্ব পাল্টে সেই সময় আমার স্বামীকে বাগানের কাজে পাঠানো হয়। কিছুটা খারাপ সঙ্গ তৈরি হয়। শুরু হয় মদ খাওয়া। রোজ রাতে আমার উপর অত্যাচার করত। বাচ্চারা তখন ছোট। মুখ বুজে সহ্য করতাম। কিন্তু নিজের পছন্দের কাজকর্ম করা বন্ধ করিনি। ফলে অত্যাচারের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে। শুরু হয় মারধরও।’’

বাগানে কাজের সময় ফুলহৃদা শুনতেন, তাঁর মতো অংসখ্য মেয়ে গ্রামে-গ্রামান্তরে রয়েছেন, যাঁরা মুখ বুজে ঘরে স্বামীর অত্যাচার মেনে নিয়েই বেঁচে রয়েছেন।

বাগানে কাজের সময় ফুলহৃদা শুনতেন, তাঁর মতো অংসখ্য মেয়ে গ্রামে-গ্রামান্তরে রয়েছেন, যাঁরা মুখ বুজে ঘরে স্বামীর অত্যাচার মেনে নিয়েই বেঁচে রয়েছেন। —নিজস্ব চিত্র।

এরই মধ্যে চা-বাগানের কাছাকাছি একটি হাসপাতালের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ফুলহৃদা। বলছিলেন, ‘‘এখনকার আশাকর্মীরা যে কাজ করেন, তা আমি সেই ২০০০ সাল থেকে করেছি। প্রসূতি মায়েদের খোঁজখবর নেওয়া। মেয়েদের স্কুলে পাঠানোয় উৎসাহী করা। অসুস্থদের হাসপাতাল থেকে ওষুধ দেওয়া। এ সব কাজের জন্যও বাইরে বার হতে হত। সেটাও ওঁর পছন্দ ছিল না। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর মার খেয়েছি। শারীরিক নিগ্রহ এমন চরমে পৌঁছল যে, আমার একটি কান বিকল হয়ে গেল। কিচ্ছুটি বলিনি আমি। রাতে নেশা করে এসে ছয় সন্তান-সহ আমাকে বাড়ির বাইরে বার করে দিয়েছে। তা-ও চুপ থেকেছি।’’

বাগানে কাজের সময় ফুলহৃদা শুনতেন, তাঁর মতো অংসখ্য মেয়ে গ্রামে-গ্রামান্তরে রয়েছেন, যাঁরা মুখ বুজে ঘরে স্বামীর অত্যাচার মেনে নিয়েই বেঁচে রয়েছেন। প্রতিবাদ করার সাহস নেই। কারণ, কিছু বললেই অত্যাচারের মাত্রা বাড়ত। নিজে অত্যাচারিত হতে হতে এক দিন রুখে দাঁড়াতেই হল। সেটা ওই ২০০১ সাল হবে। ফুলহৃদা-ইসডোরের দুই ছেলে আর চার মেয়ে। বাবার বিরুদ্ধে প্রথম রুখে দাঁড়াল মেয়েরা। ভরসা পেল মা। ছেলেরাও প্রতিবাদ জানাল। ফুলহৃদার কথায়, ‘‘মেয়েরা দেখছিল, বাবা ভুল পথে চালিত হচ্ছে। মায়ের কাজে কোথাও কোনও ভুল নেই। ওই দিন ছেলেমেয়েরা যে ভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়ে বাবার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াল, সাহস পেলাম। আমার স্বামীও খানিকটা দমে গেল। সেই শেষ। আর কখনও রা কাড়েনি। আর সে দিন থেকেই শুরু হল আমার প্রতিবাদ।’’ ফুলহৃদার মেয়ে গীতা কুজুরের কথায়, ‘‘আমরা যখন খানিকটা বুঝতে শিখেছি, মায়ের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাই। ছোটবেলা থেকেই বাবার অত্যাচার দেখেছি। এটা দীর্ঘকাল চলেছে। তবে সকলেই যখন একটু বড় হয়েছি, এর প্রতিবাদ জানাই। মায়ের পাশে দাঁড়াই। বাবা ভাবতেও পারেনি, আমরা এমন করব।’’

কিন্তু ফুলহৃদা তো একা নন। তাঁর মতো আরও অনেক মহিলাই গঙ্গারাম চা-বাগানে দিন কাটাচ্ছিলেন গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়ে। ফুলহৃদা জানতেন, কাজের শেষে নেশা করে প্রায় প্রতিটি বাড়ির পুরুষ বৌ পেটান। মার খেতে হয় সন্তানদেরও। নিজের বাড়িতে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করে যখন অশান্তি বন্ধ করতে সমর্থ হলেন ফুলহৃদা, তখন গোটা বাগান থেকেই তিনি মুছে দিতে চাইলেন গার্হস্থ্য হিংসা। এক দিন গ্রামের সব মহিলাকে ডেকে পাঠালেন। তাঁদের একত্রিত করে প্রতিবাদ গড়ে তোলার প্রস্তাব দিলেন তিনি। জানালেন নিজের অভিজ্ঞতার কথাও। বললেন, মুখের কথায় বা বুঝিয়ে কোনও লাভ হবে না। এই সব বন্ধ করতে চাই ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’।

সকলে সম্মত হলেন ফুলহৃদার সঙ্গে। পুলিশে চিঠি দেওয়া হল। পুলিশ চিঠি দিল আবগারি দফতরে। এর পর চা-বাগানের আনাচেকানাচে যত মদ ও জুয়ার ঠেক ছিল, যেখানে হাঁড়িয়া তৈরি হত, পুলিশ-প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন সায়ে সব ভেঙে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিল ফুলহৃদার নেতৃত্বে গ্রামের প্রমীলা বাহিনী। তাতেই কামাল হল। মদ না পাওয়ায় নেশা হল না। ফলে নেশার ঘোরে বৌ পেটানোও বন্ধ হল আস্তে আস্তে গ্রামগুলিতে। তবে এত সহজে সবটা হয়নি। ফুলহৃদার বিপক্ষেও তৈরি হয় একটা দল। সংখ্যায় খুবই কম। তবুও তারা বিরোধিতা করা শুরু করল ফুলহৃদাদের। ওই গ্রামেই থাকেন ষষ্ঠিনা মিঞ্চ। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা যে ক’জন আজ রয়েছি আমাদের সকলেরই বয়স হয়েছে৷ সেই দিনের কথা মনে পড়ে। অসাধ্যসাধন করেছিলাম। ফুলহৃদার ঘরে নিত্য দিন যা ঘটত, আমাদের সকলের ঘরে তা-ই হত। কারণ হয়তো আলাদা আলাদা। তবে ফুলহৃদা এগিয়ে এসে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সাহস জুগিয়েছিল আমাদের মধ্যে। একে একে বিভিন্ন গ্রামের মহিলারা জুড়তে থাকি ওর সঙ্গে।’’

অন্যের পাশে দাঁড়াতে লাঠিসোঁটা নিয়ে যেতেন ফুলহৃদারা। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা হাতে লাঠি তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিলাম। প্রয়োজনে ব্যবহারও করেছি। কারণ, গুটি কয়েক লোক আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কথা বলেছিলেন সেই সময়। তাঁরাও একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করেন। ওঁদের আয়ত্তে আনতে রাতবিরেতে লাঠি, হ্যারিকেন নিয়ে ছুটে যেতে হয়েছে গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে।’’ এক দিনের ঘটনার কথা শোনালেন ফুলহৃদা। নেশা করার সামগ্রী না পেয়ে গ্রামের এক জন বৌ-ছেলেমেয়েদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে রাতেই লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয় ফুলহৃদা ও তাঁর প্রমীলা বাহিনী। পরিস্থিতি এমন হয় যে, লাঠি চালাতে হয় ফুলহৃদাদের। সে এক রক্তারক্তি কাণ্ড। তার পর তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে যান ফুলহৃদা। প্রবীণা বলছেন, ‘‘সে বার খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। হাসপাতালে গেলে তো পুলিশ জানতে পারবে। এত দিন প্রতিবাদ করছি, কখনও পুলিশ পর্যন্ত বিষয়টি পৌঁছয়নি। তবে ওই দিন ভরসা দিয়েছিলেন হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তারবাবু। ঘটনার কথা শুনে আমাদের কাজের জন্য বাহবা দিয়েছিলেন। সেই থেকে সাহস আরও বেড়ে গেল।’’

Gungaram Tea Garden

গঙ্গারাম চা-বাগানের সব ডিভিশন মিলিয়ে দশটির উপর গ্রাম রয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজের প্রমীলা বাহিনীকে সব সময় ফুলহৃদা বোঝান, নারী আসলে অবলা নয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের জন্য অনেক আইনকানুন রয়েছে। শুধু ভয় পেলে চলবে না। ব্যস্, সেই থেকেই চলছে। আজকের দিনেও কোনও মহিলা নিপীড়িত হলে আমার ডাক আসে। গিয়ে সমস্যা মেটাতে হয়। তাঁরা আমার কথা শোনেন।’’ খুঁটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিতা কুমারী টোপ্পো যেমন বলছেন, ‘‘একটা লোককে গাছে বেঁধে পেটাতে দেখেছি ফুলহৃদাকে। আমরাও কত ধমক-চমক দিয়েছি। আমরা ভয় পেলেও তা বাইরে দেখাতাম না। কোনও অঘটন ঘটার আঁচ পেলেই ফুলহৃদাকে খবর দিয়ে বিভিন্ন গ্রামের মহিলারা একত্রিত হতাম। তার পর সকলে একসঙ্গে এগোতাম। গঙ্গারাম চা-বাগানের সব ডিভিশন মিলিয়ে দশটির উপর গ্রাম রয়েছে। সব জায়গাতেই আমাদের বাহিনী রয়েছে।’’ বেরোনীতা মিঞ্চের অভিজ্ঞতা আবার অন্য। তিনি বলেন, ‘‘প্রতি দিনের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতেই ফুলহৃদার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। ও আমার বাড়িতে এসে স্বামীকে ভয় দেখায়। তার পর মারধরেরও উপক্রম হলে খানিকটা ভয় পায় স্বামী। আর কখনও মারেনি। তার পর থেকে ফুলহৃদার কাজের সঙ্গে জুড়ে যাই আমিও।’’

অত্যধিক মদ্যপানের কারণেই অসুস্থ হয়ে বছর পাঁচেক আগে মারা যান ফুলহৃদার স্বামী ইসডোর। ফুলহৃদা মেয়েদের বিভিন্ন জায়গায় বিয়ে দিয়েছেন। এখন আরও বেশি করে সময় দেন তাঁর কাজে। শুধু মেয়ে নয়, গ্রামের ছেলেদেরও তিনি স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন। ২০১৪ সালে এক বার চা-বাগান দীর্ঘ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় কাজের জন্য বাগানের লোকেরা বাইরে বার হন। পেটের তাগিদে মহিলারাও যান। ফুলহৃদা জানান, একটা অস্থিরতা তৈরি হচ্ছিল বাগান জুড়ে। বাগানের মহিলারা চা-বাগানে কাজ করে অভ্যস্ত। বাইরে নয়। খারাপ লোকের অভাব নেই। অনেক মেয়েই হারিয়ে গিয়েছেন। সেই সময় মহিলাদের স্বনির্ভর করার পরিকল্পনা মাথায় আসে ফুলহৃদার। শিলিগুড়ির দুই গবেষকের সাহায্যে মাশরুম চাষ শেখানো শুরু করেন। আস্তে আস্তে মেয়েরা আবার বাগানমুখী হতে শুরু করে। ফুলহৃদার কথায়, ‘‘বাগান আবার খুললেও মেয়েরা মাশরুম চাষ করে অতিরিক্ত উপার্জন করছে। ওরা বুঝেছে পড়াশোনা ছাড়া কোনও গতি নেই। এখন গ্রামটা দেখতেও ভাল লাগে। বিশেষ কোনও কাজ নেই আমার আর। তবে মাঝেমধ্যে এখনও রাতবিরেতে ডাক কিন্তু আসে। আমিও ছুটে যাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy