ওড়িশায় দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সকালে হাওড়ার ডুমুরজলা থেকে কপ্টারে করে রওনা দিলেন মমতা। শুক্রবার রাতে টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন মমতা। সেই সঙ্গে কলকাতা থেকে ঘটনাস্থলে প্রতিনিধি দল পাঠান তিনি। শুক্রবার গভীর রাতেই তাঁরা পৌঁছে যান বালেশ্বরে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ওড়িশা সরকার এবং রেলের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন। শুক্রবার রাতে মমতা টুইটে লিখেছিলেন, ‘‘শুক্রবার সন্ধ্যায় বালেশ্বরের কাছে একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাত্রিবাহী শালিমার-করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। অনেকে গুরুতর জখম হয়েছেন। আমাদের রাজ্যের যাত্রীদের জন্য ওড়িশা সরকার এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখে চলছি। জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোলরুমও চালু করা হয়েছে।’’
বেলাইন করমণ্ডল এক্সপ্রেস
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় ওড়িশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ হাওড়ার অদূরে শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় ৪ ঘণ্টা পরে বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ কামরার ট্রেনটি। রেল দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শনিবার ভোর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৩। আহত ৯০০ জনেরও বেশি। শনিবার সকালে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৩৮। আহত হয়েছেন প্রায় ৬৫০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদেরও আশঙ্কা, উদ্ধারকাজ যত এগোবে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে অনেক যাত্রী আটকে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
দুর্ঘটনা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব-সহ রেলের পদস্থ অফিসারেরা। রেল উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। শনিবার সকালে দুর্ঘটনাস্থলে যান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। রেল মন্ত্রকের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেছেন, ‘‘শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১০ থেকে ১২টি কামরা বালেশ্বরের কাছে বেলাইন হয়। সেই কামরাগুলি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। সেই লাইনে হাওড়াগামী বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস আসছিল। সেই ট্রেনটির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ছিটকে-পড়া কামরাগুলির সংঘর্ষ হয়। এতে হাওড়াগামী ট্রেনটিরও দু’টি কামরা বেলাইন হয়ে যায়।’’রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু এককালীন ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রেল। গুরুতর আহতদের এককালীন ২ লক্ষ টাকা এবং অল্প চোট-আঘাত যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy