অপরিবর্তিত থাকছে এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) সুদের হার। ফেব্রুয়ারির শেষ দিনে ২০২৪-’২৫ আর্থিক বছরের সুদের হারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিল শ্রম মন্ত্রকের আওতাধীন তহবিলটির নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজ়েশন (ইপিএফও)। বেসরকারী সংস্থার কর্মীরা প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে বছরে ৮.২৫ শতাংশ হারে সুদ পাবেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে এই নিয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
গত আর্থিক বছরে ইপিএফের সুদের হার বৃদ্ধি করেছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে বেসরকারী সংস্থার কর্মীরা প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে সুদ বাবদ পাচ্ছিলেন ৮.১৫ শতাংশ। গত অর্থবর্ষে (পড়ুন ২০২৩-’২৪) সেই অঙ্ক বাড়িয়ে ৮.২৫ শতাংশ করে ইপিএফও। ফলে এ বারও সুদ বাড়বে বলে গ্রাহকদের মনে বাড়ছিল প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন:
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি বৈঠক বসেন ইপিএফওর সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ়ের (সিবিটি) সদস্যরা। সেখানেই সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৪-’২৫ আর্থিক বছরে প্রভিডেন্ট ফান্ডের উপর সুদের ব্যাপারে অনুমোদন দেবে অর্থ মন্ত্রক। এ ব্যাপারে সম্মতি পেতে বিষয়টি মন্ত্রকে পাঠাবে সিবিটি।
সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে সুদের হার ছাড়া আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ়ের সদস্যরা। তার মধ্যে রয়েছে উচ্চতর পিএফ এবং পেনশনের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের বাস্তব পর্যালোচনা। পাশাপাশি, এমপ্লয়িজ় ডিপোজ়িট লিঙ্কড ইনশিয়োরেন্স স্কিম (ইডিএলআই) নিয়েও আলোচনা করছেন তাঁরা।
২০২১-’২২ আর্থিক বছরে প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার ৮.১ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। গত চার দশকের নিরিখে এটাই ছিল সর্বনিম্ন সুদের হার। ২০২০-’২১ সালে সুদের ছিল ছিল ৮.৫ শতাংশ। তবে এই তহবিল থেকে গ্রাহকেরা সবচেয়ে বেশি সুদ পেয়েছেন ২০১৫-’১৬ সালে। ওই সময়ে প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার ছিল ৮.৮ শতাংশ।
২০২০ সালের মার্চে ইপিএফের বিনিয়োগের উপর ৮.৫ শতাংশ সুদের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র, যা গত সাত বছরের নিরিখে ছিল সর্বনিম্ন। ২০১৯-’২০ এবং ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার দাঁড়িয়েছিল ৮.৬৫ শতাংশে। আর সুদের হার ৮.৫৫ শতাংশ ছিল ২০১৭-’১৮ আর্থিক বছরে।