কলেজ পাশ করার পর ৩৭ বছর কেটে গিয়েছে। চাকরি, সংসার, জীবনের বহু চড়াই-উতরাই পার করে ফেলা হয়েছে। যদি এমন সময় হঠাৎ করে পুরনো দুই বন্ধুর দেখা হয়ে যায়? এক নিমেষে কি তাঁদের বয়স কমবে না? আবার কি ছাত্রজীবনের খুনসুটির স্মৃতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না? প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় এমনটাই হল। ৩৭ বছর পর কলেজের পুরনো বান্ধবীর সঙ্গে দেখা হল পুলিশ আধিকারিকের। তাঁকে দেখেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন তিনি। নিজের ফোনের ক্যামেরা চালু করে সেই মুহূর্ত বন্দি করে রাখেন তিনি। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
আরও পড়ুন:
‘ঘর কে কলেশ’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক পুলিশ আধিকারিক ইউনিফর্ম পরে ফোনের ক্যামেরা চালু করে রয়েছেন। তাঁর পাশে চুড়িদার পরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক মহিলা। ঘটনাটি প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় ঘটেছে। ওই মহিলার নাম রেশমি গুপ্ত। লখনউয়ের একটি কলেজে পড়ান তিনি। পুলিশ আধিকারিকের নাম সঞ্জীবকুমার সিংহ।
আরও পড়ুন:
সঞ্জীব জানান যে, রেশমি এবং তিনি একই কলেজে পড়াশোনা করতেন। ১৯৮৮ সালের পর আর দেখা হয়নি তাঁদের। কুম্ভমেলায় তাঁদের হঠাৎ দেখা হয়েছে। ৩৭ বছর পর পুরনো বন্ধুকে দেখে খুশি রেশমিও। তিনি বলেন, ‘‘সঞ্জীব খুব ভাল ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। আমার কুম্ভস্নানে কোনও অসুবিধা হয়নি। কলেজে পড়ার সময় সঞ্জীব খুব সরল ছিল। এখন ওর ব্যক্তিত্ব দেখে অবাক হয়ে গিয়েছি। খুব ভাল লাগছে।’’
রেশমির কথা শুনে সঞ্জীব আবার বলেন, ‘‘কলেজে পড়ার সময় তো মহিলা বাহিনী আমায় খুব একটা পাত্তা দিত না। এত দিন পর দেখা হয়েছে। তার পর আবার শিক্ষিকা! আমার মিথ্যা প্রশংসা করছে। ৫৫ বছরের বেশি বয়স হয়ে গেল আমার। তার আবার ব্যক্তিত্ব! ঠিক আছে। কোনও ব্যাপার নয়। এই মিথ্যা প্রশংসাও মেনে নিলাম। কলেজে যদি এমন প্রশংসা করত তা হলে আমার জীবনটা একটু রঙিন হত, এই আর কি!’’ সঞ্জীবের কথা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েন রেশমি। সমাজমাধ্যমে এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই তাতে ভালবাসার চিহ্নে ভরিয়ে দেন নেটাগরিকদের একাংশ। এক জন লেখেন, ‘‘বহু বছর পর পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে অপ্রত্যাশিত জায়গায় দেখা হয়ে যায় এই ভাবেই। তখন যে কী ভাল লাগে!’’