ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠতে বললে, অনেকেরই মুখ ব্যাজার হয়ে যায়। অত সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনেকেরই ভাল লাগে না। এদিকে, চিকিৎসক বা ফিটনেস প্রশিক্ষকেরা পরামর্শ দেন, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে একদম ভোর ভোর উঠতে পারলে শরীর ভাল থাকে। বিশেষ করে ভোর ৫টায় ওঠার অভ্যাস করলে নাকি শরীর তরতাজা থাকে। কিন্তু এখন নানা গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে, অত সকালে ঘুম থেকে উঠলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের একদমই অভ্যাস নেই, তাঁরা যদি হঠাৎ করে চেষ্টা করতে যান তা হলে শরীর খারাপ হবে।
স্নায়ু চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী রাসেল ফস্টারের কথায়, ভোর ৫টায় ঘুম থেকে ওঠা আর সকাল ৭টায় ওঠার মধ্যে তেমন কোনও তফাৎ নেই। যদি ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম ঠিকমতো হয়, তা হলে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু যদি ভোরে উঠতে হবে বলেই, রাতে দেরিতে ঘুমিয়েও অত ভোরে ওঠা শুরু করেন, তা হলে ‘স্লিডিং ডিজ়অর্ডার’ দেখা দিতে পারে। ভোরে উঠতে গিয়ে যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয়, তবে লাভ তো হবেই না, উল্টে ক্ষতিই হবে।
হঠাৎ ঘুম থেকে ওঠার সময় অনেকটা না বদলে দেওয়াই ভাল। কারণ তাতে হজমের সমস্যা হতে পারে। ভোরে উঠে যদি শরীরে ক্লান্তি থাকে, তা হলে সারাদিনের কাজের ক্ষতি হবে। কর্মক্ষেত্রে নিজের সেরাটা দিতে তো পারবেনই না, উল্টে কাজে ভুলভ্রান্তি হবে বেশি। শরীরের একটা নিজস্ব ঘড়ি আছে। তাকে হঠাৎ করে উল্টে দিলে হিতে বিপরীতই হবে। ভোরে উঠতে চাইলে, তার অভ্যাস ধীরে ধীরে করতে হবে। শরীর ও মনকে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে। তাতে লাভ বই ক্ষতি হবে না।