Advertisement
E-Paper

একমাত্র পোষ্যের মৃত্যু! দু’দিন দেহ আঁকড়ে থাকার পর অবসাদে আত্মহত্যা উত্তরপ্রদেশের যুবতীর

আট বছর আগে দিল্লির এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পূজার। কিন্তু দু’বছরের মাথায় বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সেই থেকে পোষ্য বিড়ালকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকতেন তিনি।

(বাঁ দিকে) মৃত সেই পোষ্য। আত্মঘাতী মহিলা (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) মৃত সেই পোষ্য। আত্মঘাতী মহিলা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৫ ১৭:২৮
Share
Save

একমাত্র পোষ্য বিড়ালের মৃত্যু হয়েছে দিন দুয়েক আগে। সে কথা বিশ্বাসই হচ্ছিল না বছর ৩২-এর যুবতীর। দু’দিন ধরে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন পোষ্যের দেহ। ভেবেছিলেন, কোনও ভাবে ফের বেঁচে উঠবে বিড়ালটি। তা না হওয়ায় শেষমেশ অবসাদে নিজেও আত্মহত্যা করলেন পোষ্যের মালকিন! সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবতীর নাম পূজা (৩২)। উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার হাসানপুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। আট বছর আগে দিল্লির এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। কিন্তু দু’বছরের মাথায় বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সেই থেকে পোষ্য বিড়ালকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকতেন পূজা। সে-ই ছিল তাঁর একমাত্র সঙ্গী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পূজার পোষ্য বিড়ালটির মৃত্যু হয়েছিল। তার পর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন পূজা। তাঁর মা মৃত বিড়ালটিকে সমাধিস্থ করার কথা বললেও রাজি হননি তিনি। দু’দিন ধরে পোষ্যের দেহ জড়িয়েই বসেছিলেন তিনি। তাঁর বিশ্বাস ছিল, বিড়ালটি আবার বেঁচে উঠবে। তাঁর মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যেরা বার বার বললেও কারও কথায় কান দেননি যুবতী। কিন্তু এত কিছুর পরেও মৃত বিড়ালটি বেঁচে না ওঠায় শেষমেশ শনিবার বিকেলে বাড়ির তিনতলার একটি ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন পূজা।

শনিবার রাত ৮টা নাগাদ পূজার মা তাঁকে ডাকতে যান। কিন্তু অনেক ডাকাডাকির পরেও সাড়া মেলেনি। শেষমেশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পূজার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিজনেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। সঙ্গে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দলও ছিল। একই ঘর থেকে ওই বিড়ালটির দেহও উদ্ধার হয়েছে।

Uttar Pradesh Pet Cat Suicide

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}