স্বপ্নাদেশ পেয়েছিল মেয়ে। সেই মতো গুজরাতের মন্দির থেকে শিবলিঙ্গ চুরি করলেন পরিবারের আট সদস্য! অভিযোগের ভিত্তিতে সকলকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে তিন মহিলাও রয়েছেন।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রি উপলক্ষে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে গুজরাতের দ্বারকার প্রাচীন ভীড়ভঞ্জন মহাদেব মন্দিরে গিয়েছিলেন একই পরিবারের আট সদস্য। সেখান থেকেই তাঁরা শিবলিঙ্গটি চুরি করে পালান বলে অভিযোগ। তার পর শিবলিঙ্গটি তাঁরা নিজেদের বাড়িতে স্থাপন করেন। অন্য দিকে, মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, শিবলিঙ্গ চুরি যাওয়ার পর প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছিল, এটিকে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। কিন্তু পরে তদন্তে জানা যায়, দ্বারকা থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে সবরকন্থা জেলার হিম্মতনগরের একটি বাড়িতে শিবলিঙ্গটি রয়েছে!
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই নানা সমস্যায় ছিল ওই পরিবার। সে সময় হঠাৎ পরিবারের একটি মেয়ে স্বপ্নে দেখে, ভীড়ভঞ্জন মন্দিরের শিবলিঙ্গটি এনে নিজেদের বাড়িতে স্থাপন করলেই তাদের যাবতীয় সমস্যার সুরাহা হবে। সেই মতো পরিকল্পনা শুরু করে দেয় ওই পরিবার। শিবরাত্রির আগেই দ্বারকার উদ্দেশে রওনা হন পরিবারের আট সদস্য। সেখানে কয়েক দিন থেকে মন্দির থেকে শিবলিঙ্গ সরানোর নিখুঁত ছকও কষেন। তার পর সুযোগ বুঝে এক দিন শিবলিঙ্গটি চুরি করে শিবরাত্রির দিনই নিজেদের বাড়িতে সেটিকে স্থাপন করেন তাঁরা।
দ্বারকার পুলিশ সুপার নীতীশ পান্ডে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘আমরা আট জনকেই গ্রেফতার করেছি। জানা গিয়েছে, মেয়ে স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পেরই ওই পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা। তার পর সকলে মিলে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত করেন।’’ ধৃতদের মধ্যে পরিবারের তিন মহিলা সদস্যও রয়েছেন। চুরি যাওয়া শিবলিঙ্গটি উদ্ধার করে সেটিকে মন্দিরে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।