দশ দিনের ব্যবধান। ফের নৌকাডুবি বাংলাদেশে।
ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবোঝাই নৌকা তলিয়ে গেল পদ্মায়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪৮ জনের। নিখোঁজ বহু। মৃতদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু। মারা গিয়েছে ছ’মাসের একটি শিশুকন্যাও। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা প্রশাসনের।
রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ শ’দেড়েক যাত্রী নিয়ে রাজবাড়ির পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে রওনা হয় নৌকাটি। মাঝ নদীতে একটি মালবোঝাই ট্রলার নৌকাটিকে ধাক্কা মারে। জল ঢুকতে শুরু করে তাতে। উল্টে যায় নৌকাটি। মৃত্যু হয় ৪৮ জনের। মৃতদের অনেকেরই পরিচয় জানা যায়নি এখনও। নৌবাহিনীর চেষ্টায় রবিবার সন্ধে পর্যন্ত ৬০ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ছ’মাসের শিশুকন্যাটিকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। উদ্ধারকাজে তদারক করতে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন নৌ-পরিবহণমন্ত্রী। ট্রলারের মালিক, চালক এবং সহকারীকে আটক করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ট্রলারটিকে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সমুদ্র পরিবহণ দফতর। তলিয়ে যাওয়া নৌকাটি টেনে তোলার চেষ্টা চলছে।
দুর্ঘটনায় বরাতজোরে রক্ষা পেয়েছেন ঢাকার এক বাসিন্দা। তবে স্ত্রী ও শাশুড়িকে হারিয়েছেন তিনি। সাংবাদিকদের বললেন, “কেবিনে ছিলাম। নৌকা ডুবতে শুরু করল। ঝাঁপ দিয়ে পালানোর সুযোগটুকু পাইনি।” কেবিনের বাইরে যাঁরা ছিলেন তাঁদের অনেকেই অবশ্য সাঁতরে প্রাণে বেঁচেছেন।
পর্যাপ্ত সুরক্ষার অভাবে বাংলাদেশে নৌকাডুবির ঘটনা নতুন নয়। চলতি মাসের ১৩ তারিখই মাঝ নদীতে নৌকা ডুবে মৃত্যু হয়েছিল এক নাবালক-সহ পাঁচ জনের। গত মাসে বঙ্গোপসাগরে ডুবে গিয়েছিল একটি মাছ ধরার নৌকা। দুর্ঘটনায় আট জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। বাংলাদেশে সব চেয়ে ভয়াবহ নৌকাডুবি হয়েছিল গত বছর অগস্টে। তাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy