সুধাময়ী মাহাতো। —নিজস্ব চিত্র।
বয়স একশো ছুঁই ছুঁই! তবে বয়স শুধুমাত্র সংখ্যা তাঁর কাছে। তাই বাড়িতে নয়, ভোটকেন্দ্রে গিয়েই ভোট দেন তিনি। এ বারের উপনির্বাচনেও বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে চান বছর ৯৭-এর সুধাময়ী মাহাতো। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, বুথে গিয়ে নয়, বয়স্ক (৮৫ বছরের ঊর্দ্ধে) ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (৪০ শতাংশ প্রতিবন্ধকতা থাকা মানুষ)-দের জন্য বাড়িতে বসে ‘হোম ভোটিং’-এর সুবিধা রয়েছে। কিন্তু গত লোকসভা ভোটে তাঁর বাড়িতে কমিশনের কেউ ভোট নিতে না আসায় টোটো করে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট দিয়েছিলেন সুধাময়ী।
আগামী ১৩ নভেম্বর মেদিনীপুর বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। এ বারে যদি তাঁর বাড়িতে আধিকারিকেরা ভোট নিতে না আসেন তা হলে আবারও নিজেই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন বলে জানালেন সুধাময়ী। তিনি মেদিনীপুর সদর ব্লকের মালবাঁধি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর ছেলে নন্দদুলাল মাহাতো বলেন, “বাড়িতে ভোট নিতে আসার কথা আমাদের জানা ছিল না। যদি বাড়িতে আসে তা হলে তো ভালই হয়। মা বাড়িতেই ভোট দেবেন। বয়সের ভারে হাঁটতে একটু সমস্যা হয়। বার্ধক্যজনিত সমস্যা তো রয়েছে, তার উপর কানে কম শোনেন।”
সুধাময়ীর নাতি লক্ষ্মীকান্ত মাহাতো বলেন, “ঠাকুমা প্রতি ভোটে কেন্দ্রে যান। কারণ, সেখানে গেলে গ্রামের অনেকের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। একটু আনন্দ পান। ভোট দিতে যাওয়ার আগে নতুন শাড়ি পরেন তিনি।”
সুধাময়ীর প্রতিবেশী প্রায় ৯০ বছর বয়সি ঊষারানি জানান, তিনি হাঁটতে পারেন তবে দূরে যেতে সমস্যা হয়। তিনি বলেন, “ভোট আসছে শুনেছি। ভোট দেব।”
আগামী ১৩ নভেম্বর মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচন। জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, “বয়স্ক ভোটার এবং প্রতিবন্ধী ভোটারদের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট নেবেন প্রিসাইডিং অফিসারেরা। একটি তালিকা বানানো হয়েছে, সেই মতো কাজ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy