ত্রাসের রেশ এখনও মেলায়নি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলের পড়ুয়ারা জানাল, মঙ্গলবারের তালিবানি হামলা তাদের জীবনে প্রভাব ফেলবে না। লেখাপড়া শুরু করবে তারা। খেলাধুলোও চলবে পাশাপাশি। এই হামলায় যে জীবনের কিছু বদলায়নি, তালিবানকে সে বার্তা দিতেই শপথ নিয়েছে জখম শিশুরা।
তবে এর পরেও চিন্তা যাচ্ছে না শাহ মিরের। সেনা স্কুলের এই ছাত্র এখন হাসপাতালে। সেখান থেকেই বলল, “আমার ক্রিকেট টিমের বাকি খেলোয়াড়দের নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।” জানাল, সুস্থ হওয়ার পর টিমের ‘পারফরম্যান্স’ ভাল করার দিকে মন দিতে চায় সে। ক্রিকেট যে নাবালক-মনের ক্ষতে মলমের কাজ করতে পারে তা আঁচ করেই আর্মি পাবলিক স্কুল পরিদর্শনের কথা ভেবেছে গোটা পাক ক্রিকেট দল। যে সংস্থা চলতি পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ স্পনসর করছে তার মুখপাত্র জানান, এই সিরিজ যদি পাকিস্তান জেতে, তা হলে ট্রফিটি আর্মি পাবলিক স্কুলের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পাক ক্রিকেট বোর্ডের পাশে দাঁড়াচ্ছেন পাকিস্তানে বসবাসকারী খ্রিস্টানরাও। বড়দিনের উৎসব বন্ধ রাখছেন তাঁরা। তবু সাবধানের মার নেই। সে কারণেই পঞ্জাব প্রদেশের স্কুল ও কলেজগুলিতে শীতের ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। জঙ্গি কার্যকলাপে দোষী সাব্যস্তদের ফাঁসিতে ঝোলানোর তোড়জোড় শুরু করেছে পাকিস্তান। শুক্রবার রাতে দু’জনকে ফাঁসিতে ঝোলানোও হয়।
সেনা স্কুলে হামলার মূল চক্রীর নাম জানা গিয়েছে বলে এ দিন দাবি করে পাক প্রশাসন। তারা জানায়, বৃহস্পতিবার তালিবানের ওয়েবসাইটে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। এক জঙ্গি বলে, “আমাদের মহিলা ও শিশুরা শহিদ হলে তোমাদের সন্তানরাও পার পাবে না।” বক্তার নাম উমর মনসুর। তিন সন্তানের বাবা, ৩৬ বছর বয়সী উমর কট্টর জেহাদি ভাবধারায় বিশ্বাসী, পাক তালিবান প্রধান মোল্লা ফজলুল্লাহ কাছের লোক। হামলার ছক কষা তার পক্ষে অসম্ভব নয় বলে মনে করে সেনাবাহিনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy