এইচ-১বি ভিসা
এইচ১বি ভিসার শর্তাবলী পরিবর্তন নিয়ে এমনিতেই চাপানউতোর চলছে। বিদেশি কর্মী নিয়োগ কমাতে ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বদল এনেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তার মধ্যেই শুক্রবার মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন দফতর জানাল, মার্কিন কংগ্রেস অনুমোদিত ৬৫ হাজার বিদেশিকে এইচ১বি ভিসা দেওয়ার যে সর্বোচ্চসীমা, ২০২০ আর্থিক বছরের সেই কোটা পূরণ হয়ে গিয়েছে। তা-ও এই ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই।
এইচ১বি ভিসায় অভিবাসনের অনুমতি দেওয়া হয় না। এটি মূলত মার্কিন মুলুকে কাজের ভিসা। আমেরিকার বিভিন্ন সংস্থা এই ভিসার সাহায্যে বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ করে। প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে এই ভিসার ব্যবহার খুব বেশি। প্রযুক্তি-সংস্থাগুলো প্রতি বছর এই ভিসা মারফত হাজার হাজার বিদেশি, মূলত ভারতীয় ও চিনা নাগরিকদের কাজে নিয়োগ করে। এই গোটা বিষয়টি দেখাশোনা করে মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন দফতর। শুক্রবার তারা জানিয়েছে, অসংখ্য আবেদন জমা পড়েছে তাদের দফতরে। সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার এইচ১বি ভিসা তারা দিতে পারে। ২০২০ আর্থিক বছরের জন্য সেই সীমা ছুঁয়ে ফেলেছে দফতর। ২০২০ আর্থিক বছর শুরু হচ্ছে ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে। তার জন্য গত ১ এপ্রিল থেকে আবেদন জমা পড়তে শুরু করেছে। পাঁচ দিনে সর্বোচ্চসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে বলে জানালেও ঠিক কত সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে, তা জানানো হয়নি। যে সমস্ত আবেদন বাতিল করা হবে, তাদের থেকে নেওয়া
ভিসা-ফি ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
২০১৮ সালে ১ লক্ষ ৯৯ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। ২০১৭ সালে প্রথম পাঁচ দিনেই জমা পড়েছিল ২ লক্ষ ৩৬ হাজার আবেদন। ২০১৬ সালে ২ লক্ষ ৩২ হাজার আবেদন এসেছিল। তবে নয়া নিয়ম চালু হওয়ার পরে এ বছরই প্রথম এইচ১বি ভিসার আবেদন জমা পড়ল। নতুন নিয়মে যাঁরা কোনও মার্কিন প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন, তাঁদের আগে সুযোগ দেওয়া হবে। এ ছাড়াও ছোটখাটো কিছু বদল করা হয়েছে।
মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন দফতরের ডিরেক্টর এল ফ্রান্সিস সিসনা একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘এই সাধারণ কিন্তু কার্যকরী বদলগুলোয় মার্কিন সংস্থাগুলোই উপকৃত হবে। এমন বহু সংস্থাই আছে, যারা আমেরিকার কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চশিক্ষা করা বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে চায়। নতুন নিয়মে তাদের কর্মী-বাছাইয়ে সুবিধা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy