Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

স্বামীর এইচ-১বি? কাজ-ভিসা নয় স্ত্রীকে

আমেরিকায় কর্মরত ও গ্রিন কার্ডের অপেক্ষায় থাকা এইচ-১বি ভিসাধারী হাজার হাজার মানুষের (যাঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশই ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী) স্ত্রী ও স্বামীদের কাজের সুযোগ করে দিতে ২০১৫-র ফেব্রুয়ারিতে এইচ-৪ ভিসা চালু করেছিল বারাক ওবামা প্রশাসন।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৫০
Share: Save:

এইচ-১বি ভিসা নিয়ে যাঁরা আমেরিকায় চাকরি করছেন, এ বার তাঁদের স্ত্রী বা স্বামীরা আর এ দেশে চাকরি করার বিশেষ ভিসা পাবেন না। বৃহস্পতিবার এই কথা জানিয়েছে মার্কিন স্বরাষ্ট্র সুরক্ষা দফতর (ডিএইচএস)।

আমেরিকায় কর্মরত ও গ্রিন কার্ডের অপেক্ষায় থাকা এইচ-১বি ভিসাধারী হাজার হাজার মানুষের (যাঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশই ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী) স্ত্রী ও স্বামীদের কাজের সুযোগ করে দিতে ২০১৫-র ফেব্রুয়ারিতে এইচ-৪ ভিসা চালু করেছিল বারাক ওবামা প্রশাসন। এই ভিসার আওতায় ২০১৬ সালে ৪১,০০০ এবং ২০১৭-র জুন পর্যন্ত ৩৬,০০০ জন মার্কিন মুলুকে কাজ করার অনুমতি পেয়েছেন।

ডিএইচএস জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প-এর ‘মার্কিন জিনিস কিনুন, মার্কিনদের চাকরি দিন’ নীতি। প্রচারের সময় থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে এসেছেন, ক্ষমতায় এলে এইচ-১বি ভিসার নিয়ম পাল্টাবেন। ২০১৭-র এপ্রিলে মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন দফতর ডিএইচএসকে নির্দেশ দেয়, এইচ-১বি ভিসায় পরিবর্তন আনা হোক। গত কয়েক মাস ধরেই ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ও সংস্থাগুলোর চিন্তা বাড়িয়ে ক্রমশ কড়া হচ্ছে এই ভিসার নিয়মকানুন।

এত দিন প্রতি বছর গড়ে ৮৫,০০০ এইচ-১বি ভিসা দিয়েছে আমেরিকা। প্রথমে ভিসাটির মেয়াদ থাকে তিন বছর। পরে, আরও তিন বছর বাড়ানো যায়। ডিএইচএস জানিয়েছে, কোন পেশার মানুষেরা এই ভিসা পাবেন, তাতেও নতুন করে বিধিনিষেধ বসানো হবে। ভারতের তথ্য-প্রযুক্তি পেশাদারদের সংগঠন ন্যাসকম-এর সভাপতি আর চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছেন তাঁরা। বোঝাচ্ছেন, আইনটি চালু হলে কতটা ঝামেলায় পড়বেন অভিবাসীরা। তাঁদের আশা, যে দক্ষ কর্মীরা আমেরিকায় আসছেন, তাঁদের দিকটাও বিবেচনা করবেন কর্তৃপক্ষ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE