Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

ফের অভিযানের ছক কষছে দিল্লি, দাবি কুরেশির

১৪ ফেব্রুয়ারি সিআরপি-র কনভয়ে আত্মঘাতী গাড়িবোমা বিস্ফোরণে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার ৪৯ জন জওয়ান নিহত হন। হামলার পিছনে পাক জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের হাত রয়েছে, এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ফের উত্তেজনা বাড়ে।

ছবি এএফপি।

ছবি এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
করাচি শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৯ ০২:২৪
Share: Save:

এই মাসেই ফের তাঁদের দেশে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে ভারত— ‘নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দাসূত্র’ থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে রবিবার দাবি করলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে ওই অভিযান হতে পারে বলে জানিয়েছেন কুরেশি। আজ ভারত যদিও বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, এটি পাকিস্তানের ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ মন্তব্য। যুদ্ধজিগির তোলারই নামান্তর। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘প্রকাশ্যে এই গিমিক দেখে মনে হচ্ছে, ভারতে আরও একটা সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর জন্য পাক জঙ্গি গোষ্ঠীদেরই ডাক দেওয়া হচ্ছে।’’

১৪ ফেব্রুয়ারি সিআরপি-র কনভয়ে আত্মঘাতী গাড়িবোমা বিস্ফোরণে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার ৪৯ জন জওয়ান নিহত হন। হামলার পিছনে পাক জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের হাত রয়েছে, এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ফের উত্তেজনা বাড়ে। পুলওয়ামার জবাবে ভারতীয় বায়ুসেনা ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে জইশের প্রশিক্ষণ শিবিরে অভিযান চালানোর দাবি করে। তার পরের দিন, ২৭ ফেব্রুয়ারি পাক বায়ুসেনা আকাশপথে পাল্টা হামলা চালিয়ে ভারতীয় মিগ-২১ বিমান নামায় এবং পাক প্রশাসনের হাতে ধরা পড়েন ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। ১ মার্চ অভিনন্দনকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হলেও দু’দেশের মধ্যে উত্তাপ কমেনি।

আজ নিজের শহর মুলতানে এক সাংবাদিক বৈঠকে কুরেশি বলেছেন, ‘‘নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ভারত অভিযানের নয়া ছক কষছে। ফের একটা বিপর্যয় হতে চলেছে...পাকিস্তানের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে নিয়েই এগোচ্ছে ওরা (ভারত)। ইসলামাবাদের উপরে কূটনৈতিক চাপ বাড়িয়ে তোলাও ওদের লক্ষ্য।’’ কুরেশির আরও সংযোজন,

‘‘যদি এটা হয়, এই অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতিশীলতার উপরে প্রভাব পড়বে।’’ তিনি জানিয়েছেন, অভিযানের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে সেই অভিযানের দিন সম্পর্কে তিনি এত নিশ্চিত হয়ে কী ভাবে জানাচ্ছেন, তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি কুরেশি। শুধু বলেছেন, ‘‘পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই তথ্য প্রকাশ্যে আনতে বলেছেন, তাই সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি জানানো হচ্ছে।’’

তা ছাড়া কুরেশির দাবি, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশকে এই তথ্য দিয়ে পাকিস্তানের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। পাক বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘আমরা চাই ওদের (ভারত) এই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকুক আন্তর্জাতিক শিবির। আর এই পথ অনুসরণের জন্য ওদের তিরস্কার করুক।’’ এই সূত্রে তিনি আন্তর্জাতিক শিবিরের সমালোচনাও করেন। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের এলাকায় ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারত যখন অভিযান করেছে, তখন সবাই চুপ ছিল।

তবে বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) কুরেশির মন্তব্যে গুরুত্ব দিচ্ছে না। পিপিপি নেতা নাফিসা শাহের মতে, ‘‘সরকার কোনও কাজ করতে পারছে না। আর এখন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ভারতের যুদ্ধের হুমকির কথা বলছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE