আলিঙ্গনরত নরেন্দ্র মোদী এবং ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ভারত। মঙ্গলবার রাশিয়ার কাজ়ানে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির (ভারত, রাশিয়া, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা) ষোড়শ শীর্ষবৈঠকে যোগ দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় স্পষ্ট ভাবে এ কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘যুদ্ধবিরতির স্বার্থে ভারত সমস্ত রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত।’’
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার রাশিয়ার কাজ়ান শহরে পৌঁছে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনে যোগ দেন। তার আগে পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেন মোদী। বৈঠকে পরে পুতিন বলেন, ‘‘ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু।’’ প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রুশ-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের আবহে উজবেকিস্তানে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলনে মোদী-পুতিন পার্শ্ববৈঠক হয়েছিল। সেখানে পুতিনকে মোদী বলেছিলেন, ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়।’’
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার বিভিন্ন পার্শ্ববৈঠক এবং মূল সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ফিরে আসবেন দেশে কিছু জরুরি কাজ থাকার জন্য। বৃহস্পতিবার শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিন ব্রিকস ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হবে। ভারতের পক্ষ থেকে সেখানে উপস্থিত থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এ বার ব্রিকসের পার্শ্ববৈঠকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়েরও মুখোমুখি হবেন মোদী। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং বহুপাক্ষিকতাকে শক্তিশালী করা ব্রিকস-এর ষোড়শ শীর্ষ সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয়। পাঁচ স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র-সহ ইরান, ইথিওপিয়া, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো নতুন সদস্য এবং পর্যবেক্ষক মিলিয়ে মোট ৩৬টি দেশের রাষ্ট্রনেতারা এ বার রয়েছেন আমন্ত্রিতের তালিকায়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এ নিয়ে দ্বিতীয় বার রাশিয়া সফরে গেলেন মোদী। গত জুলাইয়ে ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মস্কো গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছিল তাঁর। তাতে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রসঙ্গও ওঠে। যুদ্ধ থামিয়ে যাতে শান্তিপূর্ণ আবহ ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। তার পর অগস্টে ইউক্রেন সফরে যান মোদী। বৈঠক করেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে। সূত্রের খবর, সেই সফর সেরে পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন মোদী। তার পরেই সমাজমাধ্যমে মোদী লিখেছিলেন, ‘‘রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সাম্প্রতিক ইউক্রেন সফরে গিয়ে আমার যা ধারণা হয়েছে, তাঁকে তা জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy