দিল্লির মেয়র নির্বাচনে জয়ী হল বিজেপি। কংগ্রেসের মেয়র পদপ্রার্থী পেলেন মাত্র আটটি ভোট। আগেই এই নির্বাচনে না-লড়়ার কথা ঘোষণা করেছিল আম আদমি পার্টি (আপ)। আপের ওই ঘোষণার পর বিজেপি প্রার্থীর জয়ী হওয়া ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। শুক্রবার মেয়র নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ্যে এলে দেখা যায়, বিজেপির মেয়র পদপ্রার্থী রাজা ইকবাল সিংহ পেয়েছেন ১৩৩টি ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী মনদীপ পেয়েছেন ৮টি ভোট।
দিল্লি পুরনিগমে মোট আসনসংখ্যা ২৫০। তবে বর্তমানে ওই পুরনিগমে ২৩৮ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। কাউন্সিলরদের এক জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। আর বাকিরা বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে ১২টি আসন ফাঁকা রয়েছে।
২০২২ সালে দিল্লি পুরনিগমে বিজেপির ১০৪ জন কাউন্সিলর ছিল। বর্তমানে পদ্মশিবিরে ১১৭ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। আপের কাউন্সিলর সংখ্যা ১৩৪ থেকে কমে ১১৩ হয়েছে। আর কংগ্রেসের আট জন পুরপ্রতিনিধি রয়েছেন দিল্লি পুরনিগমে। নিয়ম অনুযায়ী, দিল্লি পুরনিগমের মেয়র নির্বাচনে ২৩৮ জন কাউন্সিলরের পাশাপাশি ১০ জন সাংসদ (সাত জন লোকসভার, তিন জন রাজ্যসভার) এবং ১৪ জন বিধায়ক ভোট দিতে পারেন। গত লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি লোকসভা কেন্দ্রেই জয়ী হয় বিজেপি।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে দিল্লি পুরনিগমের মেয়র নির্বাচনে আপের প্রার্থী মহেশকুমার খিনচি মাত্র তিন ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীকে হারান। এ বার ভোটের ফলে উলটপুরণ হল।
দু’মাস হল দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে আপ। সম্প্রতি দিল্লি পুরনিগমের সচিবালয়ের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, ২৫ এপ্রিল (শুক্রবার) সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভাতেই ভোটাভুটির মাধ্যমে নতুন মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হবেন। সোমবার ভোটে না-লড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন দিল্লির বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনা। অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দলের তরফে যুক্তি দেওয়া হয় যে, কাউন্সিলরদের কিনে ইতিমধ্যেই বিজেপি শক্তি বৃদ্ধি করে ফেলেছে। কিন্তু আপ তা পারেনি, আর ভবিষ্যতে এমন করবেও না।