জাকারি প্যারিশ
দেশের অতি ঢিলাঢালা বন্দুক আইন নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এ বার সেই বন্দুক হামলার শিকার হলেন এক তরুণ পুলিশ অফিসার। হামলায় আহত হয়েছেন মোট ছ’জন। যাঁদের মধ্যে চার জনই পুলিশ কর্মী।
ঘটনা আমেরিকার কলোরাডোর ডেনভার শহরের। একটি প্রথম সারির মার্কিন দৈনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কাল ভোররাতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গোলমালের খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিল পুলিশ। একটি ফ্ল্যাটে সাময়িক গোলমাল মিটিয়ে তারা ফিরেও যায়। কিন্তু ঘণ্টা দু’য়েকের মাথায় ফের খবর যায় পুলিশে। ঝামেলা মেটাতে গিয়ে পুলিশ দেখে ম্যাথু রিহেল নামে ৩৭ বছরের এক যুবক এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ছে। কিছু ক্ষণ আগে তার সঙ্গেই ঝামেলা বেধেছিল ওই ফ্ল্যাটের অন্য এক বাসিন্দার। পুলিশের ভাষায় ‘‘ম্যাথু তখন মানসিক বিকারগ্রস্তের মতো ব্যবহার করছিল।’’ তাকে কাবু করতে গিয়ে মৃত্যু হয় ডগলাস কাউন্টি শেরিফের অফিসার জাকারি প্যারিশের। বয়স ২৯। জাকারি ছাড়াও ম্যাথুর গুলির আঘাতে জখম হন চার জন পুলিশ অফিসার। ওই অ্যাপার্টমেন্টের দুই বাসিন্দারও গুলি লেগেছে। তবে তাঁদের আঘাত ততটা মারাত্মক নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাঁচ জন অফিসারের গুলি লাগার পরে আহত হওয়ার পরে সোয়াট বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
ডগলাস কাউন্টির শেরিফ জানিয়েছেন, ম্যাথু মোট ১০০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় তাকে গুলি করে মারতে সক্ষম হয় পুলিশ। কিন্তু কেন, কী উদ্দেশ্যে ম্যাথু কাল ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ। যখন নিজের শোওয়ার ঘর থেকে সে এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছিল, তখন পুলিশ অফিসাররা অ্যাপার্টমেন্টের ঠিক কোন জায়গায় ছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তদন্তে জানা গিয়েছে ম্যাথুর বন্দুকের নেশা বহুদিনের। কোনও মানসিক অবসাদে সে ভুগছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বন্দুকবাজের হামলার খবর শুনে শোকপ্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘ডগলাস কাউন্টিতে গুলি চালনার ঘটনায় মৃতের পরিবার আর আহতদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। পুলিশকে আমরা ভালবাসি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy