তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ছিলেন নেপিদওয়ে। বৃহস্পতিবার ওই সময়েই মায়ানমার সরকারের পরামর্শদাতা এবং নেত্রী আউং সান সু চি-র ইয়াঙ্গনের বাড়িতে উ়ড়ে আসে পেট্রোল বোমা। সরকারি এক মুখপাত্র এই খবর জানিয়েছেন।
ছোট মাপের হলেও সু চির উপরে তা হলে কি কোনও হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল? এ ব্যাপারে মুখপাত্র মুখ খুলতে চাননি। পেট্রোল বোমায় বড় কোনও ক্ষতি হয়নি বাড়িতে। কিন্তু এমন ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি বলে বিষয়টি নিয়ে চর্চাও হচ্ছে। মুখপাত্র জ হাতায় বলছেন, ‘‘হামলার পরে সতর্ক করা হয় রক্ষীদের। সরকারি পরামর্শদাতার সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের। আমরা আরও সতর্ক থাকব।’’ এক জন সন্দেহভাজনের ছবি তাঁদের হাতে পৌঁছেছে বলেও জানান তিনি। ইয়াঙ্গন পুলিশের ফেসবুক পেজে সেই ব্যক্তির ছবি পোস্ট করা হয়েছে।
সু চির ইয়াঙ্গনের বাড়িটি বাহান টাউনশিপের ইউনিভার্সিটি রোডে। এই বাড়িতেই এক দশকেরও বেশি সময় গৃহবন্দি ছিলেন মায়ানমারের নেত্রী। কিন্তু সরকারের পরামর্শদাতা হওয়ার পর থেকে তাঁর জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে। তার পর থেকে তিনি রাজধানী নেপিদওয়েই বেশির ভাগ সময় থাকেন। বৃহস্পতিবার সকালেও তাই ছিলেন।
এ দিকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপরে সেনা নির্যাতন নিয়ে ফের সরব হল রাষ্ট্রপুঞ্জ। সোল থেকে বৃহস্পতিবার
মায়ানমারে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিশেষ দূত ইয়াং লি সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গাদের উপরে যে হিংসা চালিয়েছে সেনা, তাতে ‘গণহত্যার চিহ্ন’ রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ দূতের বক্তব্য, মায়ানমারে গণহত্যার বিষয়টিতে কোনও আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের স্বীকৃতি না পেলে তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু ঘোষণা করা যাচ্ছে না। তবে বাংলাদেশের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ঘুরে ইয়াংয়ের পর্যবেক্ষণ, ‘‘গণহত্যারই চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমরা এটা করেছি, না করিনি— মায়ানমারকে এই দ্বিধা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যদি অপরাধ প্রমাণিত হয়, তার দায় নিতে হবে এবং জবাবদিহিও করতে হবে। তাতে যেন ফাঁক না থাকে। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy