ওয়াশিংটনে মিছিলে সামিল খুদেও। —নিজস্ব চিত্র।
মাঝবয়সি মহিলার হাতে পতপত করে উড়ছে রামধনু রঙে আঁকা সমকামী সংগঠনের পতাকা। অন্য হাতে পোস্টার। তাতে ইংরেজিতে লেখা, “আমার সমকামী ছেলের জন্য আমি গর্বিত।” মিছিলে ওই মহিলাকে দেখে রাস্তার দু’দিকে হাজারো মানুষ তখন উল্লাসে ফেটে পড়ছে। ওই মহিলার পিছনে কয়েক জন যুবক। হাতে একগুচ্ছ রংবেরঙের পুঁতির মালা। ছুড়ে দিচ্ছেন রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে থাকা জনতার দিকে। মালা যিনি পাচ্ছেন, তিনি তাঁর সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে হাসিমুখে পরিয়ে দিচ্ছেন।
ওয়াশিংটনের সেভেন্টিন স্ট্রিটে ৯ জুন এই ভাবেই পালিত হল সমকামী দিবস। বিকেল চারটে বাজতে না বাজতে রাস্তার দু’পাশে ভিড়। বহুতলের ছাদেও অগুনতি মানুষ। সমকামী অধিকার নিয়ে যাঁরা সরব, তাঁদের সমর্থনেই ভিড়। রাস্তায় নানা ট্যাবলো। সঙ্গে পোস্টার। কোথাও লেখা, ‘সমকামীদের বিরুদ্ধে অত্যাচার বন্ধ হোক’, কোথাও লেখা, ‘আমরা তোমাদের জন্য লড়ব।’ কেউ ছুড়ছেন পুঁতির মালা, কেউ চকোলেট, কেউ হাতপাখা, কেউ সানগ্লাস, কেউ বা টুপি। সেগুলো নিতে হুড়োহুড়ি। যে যা পাচ্ছেন, সেটা প্রিয়জনকে উপহার হিসেবে দিচ্ছেন। ট্যাবলোয় যোগ দেন জুনিয়র স্কুলের শিক্ষক হ্যারিস। তিনি বললেন, “ওয়াশিংটনের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই রাস্তায়।” ভিড়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম, তাঁর কথাই ঠিক। স্কুল শিক্ষকদের সংগঠন থেকে শুরু করে বিয়ার সংস্থা, বেসরকারি রেডিয়ো স্টেশনের কর্মী, সোশ্যাল মিডিয়ার সংগঠন— কে নেই! হুইলচেয়ারে করে যাচ্ছিলেন এক মাঝবয়সি পুরুষ। তার হাতে পোস্টারে লেখা, “অল হোম ক্রিয়েট ইকুয়াল।” তাঁকে ঘিরে বিউগল বাজাচ্ছেন যুবক যুবতীরা।
সন্ধ্যা সাতটাতেও ওয়াশিংটনের রাস্তায় রোদ। বর্ণময় মিছিল ট্যাবলো ঘিরে এখানে যেন কলকাতার ছায়া। রাস্তার ধারে ফেরিওয়ালা চিৎকার করে টুপি পতাকা বিক্রি করছেন। তাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিরোধী স্লোগান লেখা। অনেকেরই অভিযোগ, সমকামী ও রূপান্তরকামীদের অধিকারের লড়াইয়ে পাশে নেই দেশের প্রেসিডেন্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy