ওয়াশিংটন বিমানবন্দরের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
ওয়াশিংটন বিমানবন্দরের কাছে সেনার চপারের সঙ্গে সংঘর্ষ যাত্রিবাহী বিমানের! সংঘর্ষের অভিঘাতে যাত্রীদের নিয়েই নদীতে ভেঙে পড়ল বিমান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে আমেরিকার রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে সেনাবাহিনীর একটি ব্ল্যাক হক চপারের সঙ্গে মাঝ আকাশে সংঘর্ষ হয় আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ওই যাত্রিবাহী বিমানের। সংঘর্ষের জেরে যাত্রীদের নিয়েই পটোম্যাক নদীতে ভেঙে পড়ে বিমানটি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বিমানটিতে যাত্রী ও বিমানকর্মী মিলিয়ে মোট ৬৪ জন ছিলেন। তাঁদের উদ্ধারের জন্য পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল।
দুর্ঘটনার খবরটি নিশ্চিত করেছে আমেরিকান এয়ারলাইন্স। সেনাবাহিনীর তরফেও খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে। টেক্সাসের সেনেটর টেড ক্রুজ় বলেছেন, ‘‘বেশ কিছু প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।’’ তবে কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, ইতিমধ্যেই ১৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। সেনার ওই চপারেও সে সময় তিন জন ছিলেন। তাঁদের খবর এখনও অজানা।
আমেরিকার ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে কানসাসের উইচিটা থেকে উড়েছিল আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ৫৩৪২ নম্বর উড়ানটি। ওই বিমানের সর্বোচ্চ যাত্রীধারণ ক্ষমতা ৬৫। আমেরিকার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, দুর্ঘটনার সময় বিমানটিতে যাত্রী ও বিমানকর্মী মিলিয়ে মোট ৬৪ জন ছিলেন। তাঁদের উদ্ধারের জন্য পটোম্যাক নদীতে অনুসন্ধান শুরু করেছে একাধিক উদ্ধারকারী দল। জরুরি পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন বিমানবন্দরে আপাতত সব উড়ান এবং অবতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি, তৎপরতার জন্য উদ্ধারকারী দলগুলির প্রশংসাও করেছেন তিনি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নজরে রাখছে তাঁর প্রশাসন। নিখোঁজ যাত্রী ও সেনাদের কোনও খবর পাওয়া গেলে তা জানানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy