প্রতিবাদের নতুন ভাষা। সোমবার ক্লিভল্যান্ডে। ছবি: এএফপি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে দেখতে চান না তাঁরা। তাই প্রকাশ্যে নগ্ন হয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদে সামিল হলেন ১০০ মার্কিন মহিলা। সোমবারই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষিত হয়েছে ট্রাম্পের নাম। সেই উপলক্ষে ক্লিভল্যান্ডে চলছে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশন। অনুষ্ঠানস্থলের অদূরে এ দিন একত্রিত হন এই ১০০ ‘প্রতিবাদী’।
উদ্যোগটা ছিল স্পেনসার টিউনিক নামে এক চিত্রগ্রাহকের। তাঁর ডাকেই সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন ওই মহিলারা। হাতে বিরাট আয়না। গায়ে সুতোটুকুও নেই। হাতে ধরা আয়নার মুখ ঘোরানো অনুষ্ঠানমঞ্চের দিকে। প্রকাশ্যে নগ্ন হওয়া ক্লিভল্যান্ডে বেআইনি হলেও মালিকের অনুমতিতে ফটোশ্যুটটি স্থানীয় এক ব্যক্তির নিজের বাড়িতে হওয়ায় ধরপাকড়ের সুযোগ পায়নি পুলিশ। শিল্পী তাঁর নিজের ওয়েবসাইটে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, এই আয়নাগুলি প্রগতিশীল নারীদের জ্ঞান এবং বিদ্যার প্রতীক।
‘‘ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ভোট দেওয়াই যথেষ্ট বলে মনে করি না আমি। বাড়িতে আমার স্ত্রী ও মেয়ে রয়েছে। রিপাবলিকান পার্টির তরফে মহিলা ও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে ভাষায় আক্রমণ শানানো হচ্ছে তা অকল্পনীয়’’, ক্ষোভ স্পেনসারের। নিজের শিল্পসৃষ্টিতে তাই নির্দ্বিধায় আগল ভাঙার বার্তা দিয়েছেন শিল্পী। স্পেনসারের কথায়, শিল্পের মাধ্যমে এই রাজনৈতিক প্রতিবাদের জন্য ১০০ ‘সাহসিনী’কে একজোট করেছেন তিনি।
তাঁদেরই একজন ৫৫ বছরের মাপো কিননর্ড। এই অধ্যাপক এবং শিল্পী জানিয়েছেন, মুসলিম এবং শরণার্থীদের ভয় পাওয়ার কথা বলে রিপাবলিকানরা তাঁদেরই ভয় পাইয়ে দিয়েছেন। এই প্রতিবাদ তাই রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে। মাপো বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ নির্ভয়ে স্বাধীনতার স্বাদ নিতে চাই আমরা।’’ একই সুর মরনিং রবিনসনের গলাতেও। ১৮ বছরের এই তরুণী বলেন, ‘‘রিপাবলিকানরা সমাজে নারীদের যে অবস্থানের কথা বলেন, আমি তার সঙ্গে সহমত নই। তারই প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’ স্পেনসারের এই ফটোশ্যুটে অংশ নিয়েছেন তাঁরা মা-মেয়ে দু’জনই।
নগ্ন ফটোশ্যুটের মাধ্যমে আগেও নানা বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্পেনসার টিউনিক। তাঁর এ বারের প্রতিবাদের ধরন নিয়ে হইচই পড়ে গেলেও ট্রাম্পের জনপ্রিয়তায় তা কতখানি চিড় ধরাতে পারে এখন তাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy