ফাইল চিত্র
শপথগ্রহণে নওয়াজ় শরিফ-সহ সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত সব দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রনেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। হবু পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও সেই পথে হাঁটার কথা ভাবছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।
একক বৃহত্তম দল হলেও সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় সংখ্যা এখনও জোগাড় করতে পারেনি ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-এ-ইনসাফ (পিটিআই)। তবে শপথগ্রহণ নিয়ে পরিকল্পনাও চলছে পুরোদমে। আজ পিটিআই-এর এক নেতা জানান, দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ইতিমধ্যেই সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রনেতাদের আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত কাল ইমরানকে ফোন করে অভিনন্দন জানান মোদী। পিটিআই-এর ওই নেতার মতে, দু’দেশের অধ্যায়ে ‘নতুন অধ্যায়’ শুরুর ইঙ্গিত মিলেছে। ইমরানের মুখপাত্র ফওয়াদ চৌধরির কথায়, ‘‘বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করে কয়েক দিনের মধ্যেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দল।’’
পাক নির্বাচনে পাঁচটি আসন থেকে জিতে রেকর্ড গড়েছেন ইমরান। তার মধ্যে নিজের শহর মিয়াঁওয়ালিই হাতে রাখবেন তিনি। অন্য দিকে সরকার গঠনের জন্য এক সময়ের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী এমকিউএম পাকিস্তানের সমর্থন চেয়েছেন ইমরান। আজ করাচিতে এমকিউএমের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইমরানের দূত জাহাঙ্গির তারিন।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে ইমরানের দলে জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করে পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশ। ওই প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পুরনো বন্ধু পারভেজ় খট্টাককেই দেবেন বলে নানা সূত্রে দাবি করা হয়েছিল। পরে দলের তরফে আতিফ খান, মহম্মদ ইশতিয়াক উরমার ও তৈমুর সালিম খান ঝাগরার নাম প্রস্তাব করা হয়। রটে যায়, দলের কার্যকলাপে চটেছেন খট্টাক। এ দিন আতিফ খানের নামে সম্মতি দিয়েছেন ইমরান। এ দিকে, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় মঙ্গলবার ইসলামাবাদের হাসপাতাল থেকে রাওয়ালপিন্ডির জেলে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy