ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মাইক পম্পিও। ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানহানার পরে পরমাণু যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আমেরিকার সময়োচিত হস্তক্ষেপে সেই সঙ্কট কাটনো সম্ভব হয় বলে সে দেশের তৎকালীন বিদেশ সচিব মাইক পম্পিওর দাবি।
সদ্যপ্রকাশিত আত্মজীবনী ‘নেভার গিভ অ্যান ইঞ্চি–ফাইটিং ফর দ্য আমেরিকা আই লাভ’-এ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের সেই সঙ্কটপর্বের কথা লিখেছেন আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আস্থাভাজন এই রিপাবলিকান নেতা। তাঁর দাবি, সে সময় নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিদেশমন্ত্রী প্রয়াত সুষমা স্বরাজের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। সুষমা তাঁকে বলেছিলেন, পাকিস্তান পরমাণু হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রয়োজনে ভারতও ‘প্রত্যাঘাত’ করবে বলে সে সময় সুষমা জানিয়েছিলেন বলে পম্পিওর দাবি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপি কনভয় লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাক মদতেপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদ। তাতে ৪০ জন জওয়ান প্রাণ হারান। তার প্রত্যাঘাতেই ২৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে বালাকোট এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জইশ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনা। তার পর দিনই রাজৌরি হয়ে ভারতের আকাশসীমায় ঢোকার চেষ্টা করে পাক যুদ্ধবিমান। সেটিকে তাড়া করতে গিয়ে পাক সেনার হাতে বন্দি হয়েছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের চালক অভিনন্দন বর্তমান।
আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর প্রাক্তন ডিরেক্টর পম্পিও তাঁর বইয়ে সুষমাকে ‘বোকা’ বলেছেন। সেই সঙ্গে আরও অপমানজনক বিশেষণও প্রয়োগ করেছেন। যা নিয়ে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বুধবার নিশানা করেন পম্পিওকে। বলেছেন, ‘‘প্রয়াত সুষমাজি সম্পর্কে এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’’ যদিও ট্রাম্প জমানার বিদেশ সচিব তাঁর আত্মজীবনীতে ভারতের তৎকালীন বিদেশ সচিব জয়শঙ্করের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy