প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে এ বার থাকবে শুধু দেশে তৈরি অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
রীতি বদলের সূচনা হয়েছিল এক বছর আগেই। এ বার নয়াদিল্লির রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসে সম্পূর্ণ হবে সেই প্রক্রিয়া। এই প্রথম বার পুরোপুরি দেশে তৈরি অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম দেখা যাবে কুচকাওয়াজ এবং ‘গার্ড অফ অনার’-এ। সামরিক উৎপাদন ক্ষেত্রে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র সেরা উদাহরণগুলির সঙ্গে দেশবাসী পরিচিত হবেন।
গত বছরের স্বাধীনতা দিবসে অমৃত মহোৎসবের সূচনায় ব্রিটিশ জমানার ২৫ পাউন্ডার কামানের বদলে তোপধ্বনিতে ব্যবহার করা হয়েছিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা (‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ বা ডিআরডিও)-র তৈরি ১৫৫ মিলিমিটারের ‘অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম’ (এটিএজিএস)। এ বার প্রজাতন্ত্র দিবসের ২১ তোপধ্বনি থেকে সরছে ২৫ পাউন্ডার। বদলে আসছে আশির দশকে দেশে তৈরি ১০৫ মিলিমিটার কামান।
বৃহস্পতিবার দিল্লির রাজপথে ডিআরডিও এবং ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (বিডিএল)-এর তৈরি ‘ভূমি থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শিত হবে। থাকবে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নাগ এবং রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি শব্দের চেয়ে দ্রুতগামী (সুপারসনিক) ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মস। ডিআরডিওর তৈরি ভারী ট্যাঙ্ক অর্জুন এবং সাঁজোয়া গাড়িবাহিত ১৫৫ মিলিমিটার হাউইৎজার ‘কে-৯ বজ্র’।
প্রতিরক্ষা উৎপাদনে বেসরকারি সংস্থাকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার কথা কয়েক বছর আগেই ঘোষণা করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই নীতি মেনেই টাটা গোষ্ঠীর তৈরি ‘কুইক রিঅ্যাকশন ফাইটিং ভেহিকল্’ ঠাঁই নিয়েছে সেনায়। এ বার তা দেখতে পাবেন দেশবাসী। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হিন্দুস্থান অ্যারোনটিস্ক লিমিটেড’ (হ্যাল)-এর তৈরি ‘প্রচণ্ড’, ‘ধ্রুব’ এবং ‘রুদ্র’ কপ্টারকেও দেখা যাবে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy