Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
International

উত্তেজনা কমাতে ফোনে কথা ডোভাল-নাসিরের, জানালেন সরতাজ আজিজ

ভারত এবং পাকিস্তানের দুই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরস্পরের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন। পাকিস্তানই জানাল সে কথা। পাক প্রধানমন্ত্রীর বিদেশনীতি সংক্রান্ত পরামর্শদাতা সরতাজ আজিজ সোমবার এ কথা জানিয়েছেন।

শান্তি ফেরাতে সচেষ্ট পাকিস্তান, এই বার্তাই কি দিতে চাইলেন সরতাজ আজিজ? —ফাইল চিত্র।

শান্তি ফেরাতে সচেষ্ট পাকিস্তান, এই বার্তাই কি দিতে চাইলেন সরতাজ আজিজ? —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৬ ১৫:৫৮
Share: Save:

ভারত এবং পাকিস্তানের দুই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরস্পরের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন। পাকিস্তানই জানাল সে কথা। পাক প্রধানমন্ত্রীর বিদেশনীতি সংক্রান্ত পরামর্শদাতা সরতাজ আজিজ সোমবার এ কথা জানিয়েছেন। নিয়ন্ত্রণ রেখায় যে প্রবল উত্তেজনা গত কয়েক দিন ধরে, তা কমানোর লক্ষ্যেই দুই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে সরতাজ আজিজ জানিয়েছেন।

জুলাই মাসে কাশ্মীর উপত্যকায় অশান্তি ছড়ানোর পর থেকেই নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা ছিল। উরি হামলার পর ভারতের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে সাত জঙ্গি ঘাঁটিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে আসে ভারতীয় বাহিনী। তার পর থেকে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। যুদ্ধের হুঙ্কার শোনাচ্ছে পাকিস্তান। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে ভারত। নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনায় টানটান। এই পরিস্থিতিতেই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নাসির জানজুয়া ফোনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

উরি হামলার পর থেকে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলে আরও কোণঠাসা হতে শুরু করেছে। পাকিস্তানের মিত্র হিসেবে পরিচিত দেশগুলিকেও সন্ত্রাসের নিন্দা করতে শোনা গিয়েছে। তার পর ভারতীয় বাহিনী পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর কথা ঘোষণা করার পর পাকিস্তান তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ভারত বিনা প্ররোচনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলতে চাইছে বলে পাকিস্তান অভিযোগ করছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল পাকিস্তানের সে বক্তব্যকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। বরং অধিকাংশ বৃহৎ শক্তিই সন্ত্রাসের নিন্দা করে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে ভারত-পাকিস্তানকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর ডাকও দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান প্রত্যাঘাত করুক, এমনটা যে আন্তর্জাতিক মহল মোটেই চাইছে না, তাও পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘আমরা কখনওই কোনও দেশকে আক্রমণ করিনি’

স্বাভাবিক ভাবেই ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পাকিস্তান। ঘরে চাপ প্রত্যাঘাতের দাবিতে। বিদেশ থেকে চাপ আলোচনার পথে সমাধান খোঁজার জন্য। বাস্তবে পাকিস্তান কোন পথে হাঁটবে, সে উত্তর সময়ই দেবে। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক চাপের কাছেই যে ইসলামাবাদকে নতিস্বীকার করতে হচ্ছে, তা কিন্তু স্পষ্ট হয়ে গেল। দু’দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে আলোচনা নিয়ে নয়াদিল্লি কিছু না জানালেও, ইসলামাবাদকে জানাতে হল যে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE