অগ্নিকাণ্ডের পর কুয়েতের সেই বহুতল আবাসন। ছবি: সংগৃহীত।
কুয়েতের অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের অধিকাংশেরই দেহ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি এমন যে, দেহ দেখে তাঁদের শনাক্ত করাই কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। নিহত ভারতীয়দের দেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে কুয়েতে পৌঁছে গিয়েছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিংহ। তিনি জানান, দেহগুলি দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বায়ুসেনার একটি বিমানকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তবে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে যে সমস্যা হচ্ছে, তা স্বীকার করে নিয়েছে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা। দেহগুলি শনাক্ত করা না গেলে সেগুলি দেশে ফেরাতেও বিলম্ব হবে বলে মত তাঁদের। দেহগুলি দেশে ফেরানোর বিষয়ে কীর্তিবর্ধন বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, “শনাক্তকরণের পরেই নিহতদের পরিজনকে খবর দেওয়া হবে। আমাদের বায়ুসেনার একটি বিমান দেহগুলি দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।” বুধবার সন্ধ্যা থেকেই নিহত ভারতীয় শ্রমিকদের দেহ দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয় নয়াদিল্লি। রাতে এই বিষয়ে কুয়েতের বিদেশমন্ত্রী আলি আল-ইয়াহিয়ার সঙ্গে কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
বুধবার ভোরের দিকে কুয়েতের রাজধানী শহরের দক্ষিণে মাঙ্গাফ এলাকার একটি বহুতল আবাসনে আগুন লাগে। জানা যায়, ওই আবাসনে মূলত থাকেন শ্রমিকেরা, যাঁদের অধিকাংশই ভারতীয়। প্রথমে জানা গিয়েছিল, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে প্রায় ৫০ জনকে। তবে কী কারণে আগুন লাগল, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। কুয়েতের কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, গ্যাস লিক হওয়ার কারণেই এই বিপর্যয়। সরকারি ভাবে অবশ্য এই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমেদ আল-জাবের আলজ-সাবাহ্ এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তে অগ্রগতির জন্য কুয়েতের স্থানীয় প্রশাসন হোটেলটির মালিককে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছে।
নিহত শ্রমিকদের মধ্যে বেশ কয়েক জন রয়েছেন, যাঁরা মিশর, নেপাল, পাকিস্তান এবং ফিলিপিন্সের বাসিন্দা। আবার ভারতীয়দের মধ্যে অধিকাংশই কেরল, তামিলনাড়ু এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু রাজ্যের বাসিন্দা। প্রত্যেকেরই বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। কুয়েত প্রশাসন জানিয়েছে, তারা হতাহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে। কুয়েতের এই ঘটনার পর বুধবার একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে স্থির হয়, নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এক্স (সাবেক টুইটারে) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে পশ্চিম এশিয়ায় কর্মরত ভারতীয়দের সুরক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy