ড্রোন-বিমান সংঘর্ষের ভিডিয়ো প্রকাশ করল আমেরিকা। প্রতীকী ছবি।
কৃষ্ণসাগরের উপরে ড্রোন-বিমান সংঘাত নিয়ে শুরু হওয়া তরজার মধ্যেই আজ সংঘর্ষের ভিডিয়ো প্রকাশ করল আমেরিকা। শুরু থেকেই সে দেশের প্রশাসন দাবি করে আসছে, রাশিয়ার এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানটি দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে তাদের এমকিউ-৯ ড্রোনটিকে ধ্বংস করেছে। আমেরিকার বায়ুসেনার ইউরোপীয় ও পূর্ব আফ্রিকার কমান্ডার জেমস হেকার বলেছেন, ‘‘সংঘর্ষের আগে দীর্ঘক্ষণ ড্রোনটির সামনে বেপরোয়া ভাবে উড়েছে বিমানটি। ড্রোনের উপরে জ্বালানিও ফেলেছে সেটি।’’ পাল্টা রাশিয়ার দাবি, ড্রোনটি তাদের সীমানার কাছে চলে আসায় যুদ্ধবিমানটি সতর্ক হয়। তবে বিমানে থাকা কোনও অস্ত্রই ব্যবহার করা হয়নি। জ্বালানি ফেলার দাবিওঠিক নয়।
এ দিকে ৪০ সেকেন্ডের প্রকাশিত ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে ড্রোনের খুব কাছ দিয়ে উড়ছে বিমানটি। এক বার জ্বালানি ফেলতেও দেখা গিয়েছে সেটিকে। আমেরিকার দাবি, বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে ড্রোনটির একটি প্রপেলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার ফলে সেটি ভেঙে পড়ে সমুদ্রে। রাশিয়া সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে জানিয়েছে, অতিরিক্ত গতির জন্য নিজেকে সামলাতে পারেনি ড্রোনটি। সেটিই ভেঙে পড়ার কারণ। আমেরিকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্টোনভ বলেন, “বলা চলে, ড্রোনটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই রাশিয়ার ক্রাইমিয়া সীমান্তের কাছে উড়ছিল। এমকিউ-৯ ধরনের ড্রোন মূলত গুপ্তচরবৃত্তির জন্যই ব্যবহৃত হয়।” রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানান, রুশ সীমান্তের কাছে আমেরিকার নজরদার ড্রোনের আনাগোনা দস্তুরমতো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃষ্ণসাগরের এই তরজা আদতে দু’টি জিনিসের প্রমাণ দেয়। প্রথম, কোনও দেশ তাদের সীমান্তের কাছে অন্য দেশের নজরদারি চায় না। আর রাশিয়া তো স্পষ্ট বলেই দিয়েছিল নেটোর কোনও বিমান বা ড্রোনকে তারা সীমান্তের কাছে উড়তে দেবে না। দ্বিতীয়টি হল, যুদ্ধ ক্রমশ প্রযুক্তি ও যন্ত্রনির্ভর হয়ে উঠবে। ফলে নির্মমতা বাড়বে আরও।
আপাতত আমেরিকা-রাশিয়ার চাপানউতোরে থমথমে কৃষ্ণসাগর এলাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy