দেউলিয়া মামলায় ব্রিটেনের আদালতে ফের ধাক্কা খেলেন পলাতক ভারতীয় ব্যবসায়ী বিজয় মাল্য! এর আগে লন্ডনের হাই কোর্ট তাঁকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিল। লন্ডন হাই কোর্টের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে ফের আদালতে মামলা করেন মাল্য। তবে ওই আর্জি ধোপে টিকল না। দেউলিয়া ঘোষণার নির্দেশই বহাল থাকল।
‘কিংফিশার’ উড়ান সংস্থার (বর্তমানে বন্ধ হয়ে যাওয়া) মালিক ছিলেন মাল্য। ওই উড়ান সংস্থার বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের থেকে ৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণখেলাপের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে ভারতীয় আদালত থেকে প্রথমে মাল্যের বিরুদ্ধে রায় যায়। পরে ওই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ব্রিটেনের আদালতও পদক্ষেপ করে। ২০২১ সালে মাল্যকে দেউলিয়া ঘোষণা করে ব্রিটেনের আদালত। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফের লন্ডন হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মাল্য।
বস্তুত, গত বছরের ডিসেম্বরেই মাল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের প্রশ্নে সংসদে হিসাব দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি জানান, মাল্যের বিভিন্ন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ১৪,১৩১.৬ কোটি টাকা ব্যাঙ্কগুলিকে ফিরিয়েছে। তার পরেই সমাজমাধ্যমে মাল্য দাবি করেন, ইডি এবং ব্যাঙ্কগুলিকে যদি আইনত দ্বিগুণ টাকা উদ্ধারের ব্যাখ্যা না দিতে পারে, তা হলে তিনিও সুরাহা পাওয়ার অধিকারী। তবে মাল্যর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন লন্ডন হাই কোর্টের বিচারপতি অ্যান্থনি মান। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে মাল্যের আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনও প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন:
১৭টি ভারতীয় ব্যাঙ্ক থেকে কিংফিশার এয়ারলাইন্সের জন্য প্রায় ন’হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন মাল্য। কিন্তু সেই টাকা মেটাতে না পারায় ২০১৬-র মার্চ মাসেই দেশ ছাড়েন কিংফিশার কর্তা। তাঁকে পলাতক ঘোষণা করা হয়। এর পরে ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল লন্ডনে গ্রেফতার হন তিনি। ভারতে ঋণখেলাপ-সহ একাধিক মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। কিন্তু গ্রেফতারির তিন ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই জামিনে মুক্তিও পেয়ে যান তিনি।