Advertisement
E-Paper

নয়া শুল্কনীতি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখলেন ট্রাম্প! ব্যতিক্রম শুধু চিনের ক্ষেত্রে, বেজিঙের উপর শুল্ক বৃদ্ধি পেয়ে হল ১২৫%

আমেরিকার নয়া শুল্কনীতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না। নতুন শুল্কনীতি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্যতিক্রম ঘটেছে কেবল চিনের ক্ষেত্রে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:১১
Share
Save

আমেরিকার নয়া শুল্কনীতি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিন ছাড়া বাকি সব দেশের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্য দেশগুলিকে শুল্কে আপাতত স্বস্তি দিলেও চিনের উপর শুল্ক আরও বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের ঘোষণা অনুসারে, চিনা পণ্যের উপর এ বার ১২৫ শতাংশ হারে শুল্ক ধার্য্য হবে।

আমেরিকার বাজারে বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপর সম্প্রতি ‘পারস্পরিক শুল্কে’র কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তালিকায় চিন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি ভারত বা ইজ়রায়েলের মতো আমেরিকার ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ও ছিল। হোয়াইট হাউস থেকে গত সপ্তাহেই জানানো হয়, এই শুল্কনীতির বিষয়ে অনেক দেশ ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছে। হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক কাউন্সিলের অধিকর্তা কেভিন হ্যাসেট জানিয়েছিলেন, ৫০টিরও বেশি দেশ আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ঘটনাচক্রে, গত বেশ কয়েক দিন ধরে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনা চলছে আমেরিকার। বুধবার বিকেলেও ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, শুল্ক এবং বাণিজ্য প্রসঙ্গে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা চলছে।

ট্রাম্পের শুল্কনীতি ঘিরে আমেরিকার অন্দরেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। গত সপ্তাহে আমেরিকায় ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে ব্যাপক পরিসরে আন্দোলন হয়েছিল মার্কিন মুলুকে। হাজার হাজার মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন। নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি-সহ আমেরিকার সব বড় শহরে মার্কিন জনতা ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তার মধ্যে একটি ছিল তাঁর শুল্কনীতিও।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক শুল্কনীতিতে অন্য দেশগুলি যেমন প্রভাবিত হয়েছে, তেমন প্রভাব পড়েছে মার্কিন মুলুকেও। আমেরিকার শেয়ার বাজারে এক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের আবহে ওয়াল স্ট্রিটের টালমাটাল পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি শুল্কনীতির জন্য আমেরিকার বাজারে পণ্যের দামও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে চিন ছাড়া বাকি সব দেশের উপর নয়া শুল্কনীতি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প। যদিও কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা এখনও পর্যন্ত হোয়াইট হাউস থেকে মেলেনি। তবে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, বুধবার ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পর পরই বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে হাল ফিরতে শুরু করেছে। আমেরিকার শেয়ার বাজারের দু’টি সূচক ‘এস অ্যান্ড পি ৫০০’ এবং ‘ন্যাসড্যাক’ ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে চিনের সঙ্গে আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানির দিকে। দু’দেশের শুল্ক সংঘাতের আবহে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকেই চিনা পণ্যের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিল আমেরিকা। পরে বুধবার তা আরও ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি করেন ট্রাম্প। পাল্টা মার্কিন পণ্যের উপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করে চিন। তার পরে ট্রাম্প আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করেন চিনা পণ্যের উপর। মোট শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১০৪ শতাংশ। ট্রাম্প ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করতেই ফের ‘প্রত্যাঘাত’ করে চিন। পাল্টা ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপায় বেজিং। পরিস্থিতি দাঁড়ায়, আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যে ১০৪ শতাংশ শুল্ক বনাম চিনা বাজারে মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক! দুই দেশের মধ্যে এই শুল্ক সংঘাতের আবহেই বুধবার রাতে (ভারতীয় সময় অনুসারে) চিন ছাড়া বাকি সব দেশের উপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখলেন ট্রাম্প। চিনা পণ্যের উপর শুল্ক বৃদ্ধি করে ১২৫ শতাংশ করেছেন তিনি। ট্রাম্পের দাবি, “বিশ্ব বাজারের প্রতি কোনও সম্মান দেখায়নি চিন।” সেই কারণেই চিনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত।

নয়া শুল্কনীতি আপাতত স্থগিত রাখলেও মেক্সিকো, কানাডা-সহ বেশির ভাগ দেশের পণ্যের উপরেই প্রাথমিক ১০ শতাংশ শুল্ক এখনও রয়েছে। আমেরিকার কোষাগার সচিব স্কট বেসান্ত জানিয়েছেন, যে সব দেশ আমেরিকার উপর ‘পাল্টা’ শুল্ক চাপায়নি, তাদের ‘পুরস্কৃত’ করা হবে। হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো জানিয়েছেন, গত কয়েক দিনে যে দেশগুলি আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক প্রসঙ্গে যোগাযোগ করেছে, আগামী ৯০ দিন ওই দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

সংক্ষেপে
  • দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথম ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ভাষণে যেমন উঠে এসেছে আমেরিকার বিভিন্ন বিষয়, তেমনই জায়গা পেয়েছে বিদেশনীতিও।
  • পূর্বসূরি জো বাইডেনের সরকারের সমালোচনাও শোনা গিয়েছে ট্রাম্পের কণ্ঠে। তাঁর ভাষণ জুড়ে ছিল কখনও অন্য দেশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি, আবার কখনও শোনা গিয়েছে ধন্যবাদজ্ঞাপনও। উঠে এসেছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ প্রসঙ্গও!
সর্বশেষ
Donald Trump US Tariff

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।