রেহাই নেই আট থেকে আশির। আলেপ্পোর দখল নিতে মরিয়া সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিষাক্ত গ্যাস-বোমা হামলার অভিযোগ উঠল আজ। সরকার নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পো প্রদেশের আল-হামদানিয়া জেলার ঘটনা। যার জেরে অন্তত এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর। প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তত ২৬। প্রত্যেকেই সাধারণ নাগরিক। বিদ্রোহীরা যদিও এই অভিযোগ মানছে না।
বিরাম নেই রকেট হানারও। সম্প্রতি আলেপ্পোর পশ্চিম অংশ থেকে বিদ্রোহীদের পিছু হটতে বাধ্য করেছিল সিরীয় সেনা। কিন্তু স্থানীয় মানবাধিকার সূত্রের খবর, গত শুক্রবার থেকেই পাল্টা জমি দখলের লড়াইয়ে নেমেছে বিদ্রোহীরা। আর তাদের হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রাণ গিয়েছে ১৪টি শিশু-সহ অন্তত ৩৮ জন নাগরিকের। আহত বিদ্রোহীদের সঙ্গে জোট করে হামলায় সামিল আল নুসরা জঙ্গি ফ্রন্টও। আলেপ্পোর পশ্চিমে এরই মধ্যে হাজার দেড়েক বিদ্রোহী এসে জমা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন। পাল্টা জবাব দিতে কোমর বাঁধছে সিরীয় সেনাও।
আর বিবদমান এই দু’পক্ষের মাঝে পড়ে আলেপ্পোর বেশির ভাগ নাগরিকই চাইছেন এলাকা ছাড়তে। কিন্তু উপায় নেই। ধারাবাহিক হামলায় এখন প্রাণ বাঁচানোই দায়। আলেপ্পোর কিছু অংশ এখনও বিদ্রোহীদের দখলে। সেখান থেকে এ বার তারা হামদানিয়া জেলার দিকে এগোতে চাইছে। কিন্তু জনবসতিতে হামলা কেন?
সিরিয়ায় কর্মরত ব্রিটেনের এক মানবাধিকার সংগঠনের অভিযোগ, এলাকা পুনর্দখলের লড়াইয়ে কোনও কিছুরই তোয়াক্কা করছে না বিদ্রোহীরা। এরই মধ্যে তবু প্রায় রোজই আলেপ্পো ছেড়ে পালাচ্ছেন দু’-এক জন। কী ভাবে? স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনটির দাবি, মাথাপিছু ৩০০ ডলার করে নিয়ে তবেই পথ ছাড়ছে বিদ্রোহীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy