সারের দাবিতে ফের পথ অবরোধে নামলেন এলাকার কৃষকেরায়। বৃহস্পতিবার ইলামবাজার-পানাগড় রাস্তা প্রায় ঘণ্টা দেড়েক অবরোধ করেন তাঁরা। পরে অবশ্য প্রশাসনের আশ্বাসে দুপুর পৌনে বারোটা নাগাদ অবরোধ প্রত্যাহার করেন। এ দিকে, অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজট হয় ওই রাস্তায়। ভোগান্তিতে পড়েন স্কুল-কলেজের পড়ুয়া থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রী সকলেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোরো চাষ চলছে। এই পরিস্থিতিতে দিন কয়েক ধরে সারের অপ্রতুলতা দেখা দিয়েছে ইলামবাজার থানা এলাকায়। মেটেকোনার বাসিন্দা কৃষক সেলিম আব্বাস, জালালনগরের শেখ আল্লাউদ্দিন, সবুজপুরের রবিউল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিন ধরে ইলামবাজার থানা এলাকা একাধিক অঞ্চলে সারের জোগান নেই। এই সময়ে প্রয়োজনীয় সার না দিলে বোরো চাষের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাঁদের অভিযোগ, “জল কিনে চাষ করি। সারের অভাবে যদি ফসল ভাল না হয়, তা হলে ঋণ মেটাব কী করে? সমস্যার কথা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে বারে বারে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সারের জোগান নেই। তাই অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ইলামবাজার হাইরোডে তিন মাথায় অবরোধে নেমেছি। তবে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আম্বুল্যান্স, দুধের গাড়ি, দমকল-সহ সমস্ত জরুরি পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, একই দাবিতে বুধবার ইলামবাজার মোড়ে ইলামবাজার-পানাগড় সড়ক বিকেলে চারটে থেকে সাড়ে চারটে নাগাদ অবরোধ করে। বিষয়টি জানতে পেরে, ঘটনাস্থলে ইলামবাজারের বিডিও এবং পুলিশ এসে প্রয়োজনীয় আশ্বাস দিলে পথ উঠে গিয়েছিল। কিন্তু সমস্যা না মিটলে ফের আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছিলেন চাষিরা। ইলামবাজারের বিডিও প্রলয় সরকার বলেন, “এ দিন ২০ টন সার বহরমপুর থেকে এসেছে। সেই পরিমাণ সার কৃষকদের দেওয়া হবে। আজ শুক্রবার ৩০ টন আসার কথা। পরের সপ্তাহে সিউড়ি থেকে জোগান হলে আশা করছি সার সমস্যা মিটবে। কৃষকদের বোঝানো হয়েছে।”
দুর্ঘটনায় মৃত্যু। লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ট্রাক্টর চালকের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে, নলহাটির শ্রীপুর মোড়ে। মৃতের নাম মহম্মদ কুদরত শেখ (৩৩)। বাড়ি নলহাটির শেরগ্রামে। এ দিকে দুর্ঘটনার পরে দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy