—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মাঝেমধ্যেই বৃদ্ধা মাকে মারধর করত ছেলে। সেই অভিযোগে আগে এক বার ওই যুবক গ্রেফতারও হয়েছিল। বুধবার রাতে ফের সে মাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এর পরেই তেতলা ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান ওই বৃদ্ধা। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশের ধারণা, বৃদ্ধা আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে, তাঁকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তারা। ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগরে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সবিতা রায় (৭৩)। বুধবার রাতে ওই ঘটনার পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই তিনি মারা যান। ঘটনার পর থেকে সবিতার ছেলে রাজু পলাতক। তার খোঁজ শুরু করেছে বরাহনগর থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রের খবর, বরাহনগর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নবীনচন্দ্র দাস রোডের বাসিন্দা সবিতার বাড়ির জমিতে কয়েক বছর আগে চারতলা ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে। তারই তেতলার ফ্ল্যাটে ছেলে, বৌমা ও নাতনির সঙ্গে থাকতেন সবিতা। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, গ্রিল কারখানার কর্মী রাজু প্রতি রাতে নেশা করে বাড়ি ফিরত। পড়শিদের গালিগালাজ করার পাশাপাশি সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে মায়ের সঙ্গে অশান্তি করত রাজু।
ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বছরখানেক আগে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সবিতা। তখন রাজু গ্রেফতার হয়েছিল। পরে ছাড়া পায়। তার পরেও কমবেশি অশান্তি লেগেই ছিল। বুধবার রাতেও বাড়িতে ফিরে সবিতাকে মারধর শুরু করে রাজু। অভিযোগ, কিছু ক্ষণ এমন চলার পরে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তেতলার খোলা বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান সবিতা। সঙ্কটজনক অবস্থায় স্থানীয়েরা প্রথমে তাঁকে বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
অশান্তির কথা স্বীকার করে বৃদ্ধার বৌমা কাকলি রায়ের দাবি, ওই দিন আলমারির চাবি কোথায় রেখেছেন, মনে করতে পারছিলেন না তাঁর শাশুড়ি। উল্টে বৌমাকে চোর অপবাদ দেন। কাকলি বলেন, ‘‘এ নিয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে বচসা হয়। ওই সময়ে ও মাকে মেরেছিল। এর পরে সকলে নিজেদের ঘরে ঢুকে যাই। পরে আওয়াজ পেয়ে বাইরে আসি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy