ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে ডাষ্টবিন,কিন্তু এখনও সেই স্থানে আর্বজনা ফেলছেন স্থানীয়রা। বাঁকুড়ার পোদ্দারপাড়ায় তোলা ছবি।
বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহের জন্য পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দাদের কাছ থেকে এ বার কর আদায় করবে পুরসভা। সম্প্রতি পুরসভা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, বাড়ি থেকে মাসে ৩০ টাকা এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে মাসে ৫০ টাকা কর সংগ্রহ করা হবে।
যদিও বিরোধীরা পুরসভার জঞ্জাল কর সংগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার বিনিময়ে কর আদায়ের বিরোধী, সেখানে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা কী ভাবে আবর্জনা-কর চাপাচ্ছে?
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মানভূম ক্রীড়া সংস্থার মাঠে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুরসভা বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহে যুক্ত নির্মল বন্ধু এবং আবর্জনা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সচেতনতা নিয়ে যাঁরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাজ করেন সেই নির্মল সাথীদের নিয়ে বৈঠক করে। পুরপ্রতিনিধিরাও হাজির ছিলেন। আবর্জনা কর সংগ্রহের বিষয়টি সেখানেই পুরসভার সাফাই বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের জানানো হয়। দ্রুত এ নিয়ে শহরে প্রচার করা হবে বলে পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি জানান।
পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের অধীনে শহরের সমস্ত ওয়ার্ড থেকেই বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়। পুরপ্রধান নবেন্দু বলেন, ‘‘এ বার এ জন্য পুরবাসীকে কর দিতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১৬ সারা দেশে চালু হয়েছে। ওই আইনে আবর্জনা সংগ্রহ বাবদ কর আদায়ের নিদান রয়েছে।’’ তিনি জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালে একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত আইন চালু হয়েছে।’’
বর্তমানে পুরুলিয়া পুরসভা সবুজ এবং নীল রঙের পাত্রে বাড়ি বাড়ি পচনশীল এবং অপচনশীল আবর্জনা পৃথক ভাবে সংগ্রহ করছে। যদিও অভিযোগ, দুই রঙের পাত্রে দু’ধরনের আবর্জনাই মিশে থাকছে। ফলে সমস্ত ধরনের আবর্জনাই একই সঙ্গে সংগ্রহ করতে হচ্ছে। পুরপ্রধানের স্বীকারোক্তি, ‘‘দু’ধরনের আবর্জনা দু’টি রঙের পাত্রে পৃথক ভাবে সংগৃহীত হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা এখনও সে ভাবে আবর্জনা সংগ্রহ করতে পারিনি কিছু সমস্যার কারণে। আমরা যাতে শীঘ্রই এ ভাবে আবর্জনা সংগ্রহের কাজ শুরু করতে পারি, সে জন্যই এই কর সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
তবে একে ‘কর’ বলতে পুরপ্রধানের আপত্তি আছে। তাঁর দাবি, ‘‘কর নয়, এটাকে ‘ইউজার্স চার্জ’ বলছি আমরা।’’
পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শহরবাসী পুরসভাকে সম্পত্তি কর দেবে, জলের কর দেবে, আবার আবর্জনা-করও দেবে? পুরসভার পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ে এ নিয়ে প্রতিবাদ জানাব।’’ পুরপ্রধানের পাল্টা জবাব, ‘‘এই কর সংগ্রহের কথা আইনেই বলা রয়েছে। বিরোধীরা আগে পড়াশোনা করুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy