সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে বৈঠকে বসেছিলেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা ও তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। কিন্তু সেই বৈঠকে পদস্থ কর্তাদের পরিবর্তে কেন মাঝারি পর্যায়ের নির্বাচন কমিশনের অফিসারেরা বৈঠক করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মহুয়া-প্রশান্তেরা।
কোনও কেন্দ্রে কত ভোটার ভোট দিয়েছেন, তা নথিভুক্ত থাকে ১৭-সি ফর্মে। সেই ফর্ম সম্প্রতি রাজনৈতিক দলের হাতে তুলে দেওয়া বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে মোট ভোট ও ভোটার তালিকায় থাকা ভোটারের সংখ্যার মধ্যে অমিল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেটিক রিফর্ম (এডিআর) ১৭-সি ফর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। ওই মামলায় বিষয়টি পরস্পরের মধ্যে কথা বলে মিটিয়ে নেওয়ার জন্য এডিআর প্রতিনিধি, মহুয়া-প্রশান্ত এবং নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আজ সেই মতো নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে যান মহুয়া-প্রশান্ত ও এডিআর-এর প্রতিনিধিরা। বৈঠক শেষে মহুয়ার অভিযোগ, ‘‘কমিশনের যে দলটি বৈঠক করেন তাঁরা মাঝারি পর্যায়ের অফিসার। ফলে বিষয়টির গুরুত্ব হারায়। অথচ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজে বার করতে হবে।’’ আর প্রশান্ত ভূষণের কথায়, ‘‘যাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করলাম, তাঁদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও ক্ষমতাই নেই। নির্বাচন কমিশনের আজকের পদক্ষেপ আদালতের নির্দেশের স্পষ্ট উল্লঙ্ঘন। কমিশনের গা-ছাড়া মনোভাবের বিষয়টি অবশ্যই সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হবে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)