বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক সভায় কর্মসংস্থানের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছবি ফেসবুক থেকে।
রাজ্যে কর্মসংস্থানে জোর দেওয়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার বাঁকুড়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, ‘‘আগামী দিনে ৮ কোটি কর্মদিবস তৈরি করা হবে।’’ একই সঙ্গে জানালেন, ১০ লক্ষ ছেলেমেয়েকে আগামী ৫ বছরে তিনি নিজের পায়ে দাঁড় করাবেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন কর্মসংস্থানমুখী বার্তা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে।
২০১১ সালে রাজ্যে ‘পরিবর্তন’-এর পর থেকে রাজ্যে শিল্প এবং কর্মসংস্থান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে মমতা সরকারের ভূমিকা। রাজ্যে শিল্প নেই, চাকরি নেই বলে তৃণমূল সরকারকে একাধিক বার নিশানা করেছে বিরোধীরা। যদিও বিরোধীদের এই অভিযোগের পাল্টা এ রাজ্যে বেকারত্বের হার কমার পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে নবান্ন। এই আবহে কর্মসংস্থানে জোর দেওয়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বুধবার রাজ্য বাজেট পেশ করা হয়। ওই বাজেট ‘কর্মসংস্থানের’ বলে মন্তব্য করেছিলেন মমতা। তার পর শুক্রবার বাঁকুড়ায় সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানেও সেই কর্মসংস্থানের বার্তা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।
মমতা বলেন, ‘‘স্কুলের পোশাক দেওয়া হবে। আগে বাইরে থেকে আসত। আয় বাইরে থেকে হত। এখন আমরা সেল্ফ হেল্প গ্রুপকে দিয়ে স্কুলের পোশাক বানাচ্ছি। এ বছর ৫ কোটি কর্মদিবস তৈরি হয়েছে। আগামী বছর ৮ কোটি কর্মদিবস তৈরি হবে।’’ এর পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এত রাস্তাঘাট, ইন্ডাস্ট্রি করার পরও আরও ২ লক্ষ ছেলেমেয়ে যাঁরা ব্যবসা করতে আগ্রহী, রাজ্য সরকার ৫ লক্ষ টাকা করে দেবে। আপনারা ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করুন, ব্যাঙ্কের কাছে যেতে হবে না। ৫ বছরে ১০ লক্ষ ছেলেমেয়েকে নিজের পায়ে দাঁড় করাব। যাঁরা নিজেরা একেক জন ১০০ লোককে কাজ দেবে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, তাঁর সরকার কর্ম সৃষ্টি করে।
জনগণের প্রতি তাঁর ভালবাসার কথাও শুক্রবার তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘আমরা জনগণের কাছ থেকে কর নিই না। জনগণের কর একটাই, জনগণ আমাকে ভালবাসে, আমরা জনগণকে ভালবাসি। সেই ভালবাসার মর্যাদা দেওয়ার জন্যই একটার পর এক প্রকল্প করা হচ্ছে। আগামী দিনেও অনেক কিছু পাবেন।’’ তবে এ জন্য টাকা জোগাড় করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আমি তো জাদুকর নই। গুপি গাইন, বাঘা বাইন নই। টাকা জোগাড় করতে হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy