মণ্ডপে যশ দাশগুপ্ত, নুসরত জাহানের মধ্যমণি ঈশান দাশগুপ্ত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
প্রথম যখন প্রকাশ্যে এসেছিল, সকলে দেখে বলেছিল এ তো ‘ছোট্ট যশ’! সপ্তমীতে বাবার জন্মদিনে যখন আদর করে বাবাকে কেক খাইয়ে দিচ্ছিল ছোট্ট ছোট্ট হাতে, তখনই সকলের একই কথা। নবমীর সন্ধ্যায় সেই ‘ছোট্ট যশ’ ওরফে বছর তিনেকের ঈশান দাশগুপ্ত ফের সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। সৌজন্যে যশ দাশগুপ্ত, নুসরত জাহান। মা-বাবার মধ্যমণি হয়ে ছবি তুলেছে সে। পরনে বাবার মতোই পাঞ্জাবি, ধুতি। কেবল রঙে তফাত। যশ বেছে নিয়েছেন সিক্যুইনের আসমানি রঙের পাঞ্জাবি, চোস্ত। ছেলেকে সাজিয়ে লাল সুতোর কাজ করা সাদা ধুতি-পাঞ্জাবিতে। ছবি প্রকাশ্যে আসতেই যশের অনুরাগীরা নতুন করে আদর জানিয়েছেন তাঁদের প্রিয় নায়কের সন্তানদের। অনেকে সেই সঙ্গে প্রশ্নও রেখেছেন, “বড় ছেলে কোথায়?”
প্রযোজক-অভিনেতা যশের দুই ছেলে। রিয়াংশ, ঈশান। দুই ছেলেকেই যশ-নুসরত সমাজমাধ্যম থেকে দূরে রেখেছেন। তাই বাকি তারকা সন্তানদের মতো তাঁদের খুব বেশি সমাজমাধ্যমে দেখা যায় না। এই কারণেই যখন দুই ভাই প্রকাশ্যে আসে, তাদের ছবি কাড়াকাড়ি করে দেখেন নেটাগরিকেরা। পুজোয় মা-বাবার সঙ্গে রিয়াংশকেও দেখা যাবে, আশা ছিল সকলের। এ দিন নুসরতও নিজেকে সুন্দর করে সাজিয়েছেন। ভিন্ন ধর্মের হয়েও নায়িকা সব ধর্মকে সম্মান জানান। প্রথাগত বিয়ে না হলেও তিনি যশের ধর্মকেও যথাযথ সম্মান করেন। সেই জায়গা থেকে তাঁর সাজে লাল রঙের পোশাক, সোনার গয়না আর সিঁথিতে অল্প সিঁদুর।
আনন্দবাজার অনলাইনকে পুজোর পরিকল্পনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে নুসরত বলেছিলেন, “প্রত্যেক বছর অষ্টমীতে গ খেতে খুব ভালবাসি। একশো বার হয়ত তার জন্য কটাক্ষের শিকার হয়েছি! তার পরেও ওই দিন অঞ্জলি দিই, আগামীতেও দেব। কারণ, বিশ্বাস কোনও ধর্মের উপর নির্ভর করে না। কোনও ভাষার উপরেও নির্ভর করে না। বিশ্বাস মানুষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।” সেই সময়েই তিনি জানিয়েছিলেন, হাজার ব্যস্ততার মধ্যেই তাঁরা সন্তানদের সময় দেবেন। নুসরতের কথায়, “ঈশানের এখন সাড়ে তিন বছর বয়স। অনেকটাই বড় হয়েছে। গত বছর ওকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলাম। ও মণ্ডপের আলোকসজ্জা দেখতে খুব পছন্দ করে। গত বছর ঢাকের তালে একটু আধটু নেচেওছে। দেখেছি, এখন ও পুজো বিষয়টা একটু বোঝার চেষ্টা করে। ‘দুগ্গা আসছে’-গোছের অল্পবিস্তর কথাও বলছে। এ বার কী করে, দেখা যাক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy